নকল স্টেজ তৈরি করে করে নিয়মিত ভিডিও তৈরি করেন। তিনি এমনভাবে ভান করেন, যেন তার সামনে কয়েকশ’ শ্রোতা! কথায় কথায় বলে থাকেন—‘মেসেজ ড্রপ’ কিংবা ‘আমার অ্যাসিস্টেন্ট’। সম্প্রতি কথিত এই আলোচককে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে তুমুল আলোচনা ও সমালোচনা।
সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল এই আলোচকের নাম আবু আবদুল্লাহ্ মোহাম্মদ। তবে তাকে বেশিরভাগ মানুষই ‘মেসেজ ড্রপ হুজু ‘ নামেই চেনে। তিনি রাজশাহীতে থাকেন। তিনি নিজেকে ইসলামিক স্কলার দাবি করেন। তবে তার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
প্রাথমিক অবস্থায় তিনি ইসলামি বক্তা মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারীসহ বেশ কয়েকজন শায়েখের কথা বলার ধরণ ও কণ্ঠ নকল করে আলোচনায় আসেন। তিনি মিজানুর রহমান আজহারীর মতো বাংলা ও ইংরেজির সংমিশ্রণে বক্তব্য দেওয়ার চেষ্টা করেন।
একসময় ইসলামের নানা প্রসঙ্গ নিয়ে তাকে আলোচনা করতে দেখা গেলে, বর্তমানে নিজেকে বদলেছেন অনেকটাই। তিনি আলোচনার আদলে ফেসবুক, টিকটক ও ইউটিউবের জন্য কনটেন্ট নির্মাণ করেন। তিনি কথায় কথায় বলেন, ‘যুব সমাজের উদ্দেশ্যে মেসেজ ড্রপ করছি।’ এমনকি তাকে সব ইনফরমেশন তার ‘পার্সোনাল অ্যাসিসটেন্ট দিয়ে থাকেন’ বলেও দাবি করে প্রতিটি ভিডিওতে।
তার ব্যক্তিগত টিকটক অ্যাকাউন্টে নারী ও সিনেমা নিয়ে আলোচনা করায় তিনি ব্যাপক সমালোচিত হন। তার আলোচনায় অভিনেত্রী থেকে শুরু করে বাদ যায়নি পর্নোতারকারাও। তিনি ‘মেয়েদের জন্য গান-নাচ জরুরি’ এবং ‘প্রেম করা ফরজ’ এমনটাও উল্লেখ করেছেন। তার এসব ফতোয়ায় ক্ষেপেছেন অনেকেই।
মো. মুহিবুল মোত্তাকিন নামের একজন লিখেছেন, ‘আপনি কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে ইসলামিক স্কলার হয়েছেন? বড় বড় ইসলামিক স্কলারাও তাদের নামের পাশে ইসলামিক স্কলার লেখেন না। আপনি তো দেখছি সবই নকল করে বসেন।’
শাকিল দেওয়ান নামের একজন লিখেছেন, ‘ফালতু বক্তা। ভাইরাল হওয়ার জন্য সব কিছু করছে।’ আশওয়াদ আহমেদ লিখেছেন,‘সোশ্যাল মিডিয়ায় সবচাইতে এন্টারটেইনিং পার্সন হচ্ছে এই শায়েখ, যে প্রতিনিয়ত যুবক ভাইদের জন্য ম্যাসেজ ড্রপ করে যাচ্ছেন।’ সাকিবুর রহমান নামের আরেক তরুণ লিখেছেন, ‘কপি পেস্টুর রহমান আজহারী। আপনি এসব বাদ দিয়ে নিজে কিছু পারলে সেটা বলুন। এই সব কপি ওয়াজ দেখতে বিরক্ত লাগে।’
Leave a Reply