ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার দিন মুসলমানদের জন্য এক অনন্য আনন্দ ও উৎসবের দিন। এই দিনে পরিবার, বন্ধু, প্রতিবেশী এবং সবার সঙ্গে শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা বিনিময় করা ইসলামের একটি সৌন্দর্যপূর্ণ ঐতিহ্য। আর এই শুভেচ্ছা আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর শিক্ষা ও আচরণই মুসলমানদের জন্য সবচেয়ে বড় আদর্শ।
আমাদের দেশে ‘ঈদ মোবারক’ বলে ঈদের শুভেচ্ছা জানানোর প্রচলন আছে। কিন্তু সালামের আগেই ‘ঈদ মোবারক’ বলে শুভেচ্ছা বিনিময় করা উচিত নয়।
রাসুল (সা.) কিভাবে ঈদের শুভেচ্ছা দিতেন?
ওয়াসিলা (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে ঈদের দিন সাক্ষাৎ করলাম। আমি বললাম, তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকা। মহানবী (সা.)ও বলেন, তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকা। (বায়হাকি : ৩/৪৪৬)
“تَقَبَّلَ اللَّهُ مِنَّا وَمِنْكُمْ”
উচ্চারণ: “তাকাব্বালাল্লাহু মিননা ওয়া মিনকুম”
অর্থ: “আল্লাহ আমাদের ও আপনাদের পক্ষ থেকে (আমলের) কবুল করুন।”
বিশিষ্ট হাদিস বর্ণনাকারী ইমাম আল-মাহমূল (রহ.) তাঁর সংকলনে উল্লেখ করেছেন, সাহাবিগণ ঈদের দিনে পরস্পরকে এই দোয়া ও শুভেচ্ছা জানাতেন। অনেক আলেমের মতে, রাসুল (সা.)-ও এই দোয়া দ্বারা ঈদের শুভেচ্ছা দিতেন এবং তা গ্রহণ করতেন।
আজকের প্রেক্ষাপটে এই শুভেচ্ছার তাৎপর্য
বর্তমান সময়ে ঈদের শুভেচ্ছা বিভিন্ন ভাষায় এবং আধুনিক উপায়ে জানানো হলেও, “তাকাব্বালাল্লাহু মিননা ওয়া মিনকুম” দোয়াটি এখনও মুসলমানদের মধ্যে প্রচলিত রয়েছে। এটি কেবল একটি শুভেচ্ছা বাক্য নয়, বরং একটি দোয়া — যাতে পরস্পরের ইবাদত ও ত্যাগের কবুলিয়াত কামনা করা হয়।
ইসলামি চিন্তাবিদদের মতে, ঈদের দিন কেবল আনন্দের প্রকাশ নয়, বরং একে অপরের জন্য কল্যাণ কামনা করার দিনও বটে। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর এই সুন্নত অনুসরণ করলে ঈদের দিন আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে।
Leave a Reply