free tracking

শিশুদের খেলনা কিনে দিচ্ছেন নাকি ক্যান্সারের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন? গবেষণায় মিলল ভয়াবহ তথ্য!

আপনার সন্তানকে আনন্দ দিতে আপনি হয়তো রঙিন ও ঝকঝকে খেলনা কিনে দিচ্ছেন। কিন্তু জানেন কি, সেই খেলনার মধ্যেই লুকিয়ে থাকতে পারে প্রাণঘাতী ক্যান্সারের ঝুঁকি?

সম্প্রতি ইউরোপের একাধিক গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ভয়াবহ তথ্য। প্লাস্টিক ও রঙিন খেলনায় ব্যবহৃত কিছু কেমিক্যাল যেমন– লেড, ক্যাডমিয়াম, ফথালেটস ও বিসফেনল-এ (BPA) শিশুদের শরীরে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। এসব উপাদান শুধু ত্বকের সংস্পর্শেই ক্ষতি করে না, বরং ধীরে ধীরে রক্তে মিশে অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ক্ষয়, হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট এবং ক্যান্সারের কোষ জন্মাতে সহায়তা করে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, রাসায়নিক মিশ্রিত প্লাস্টিক খেলনা শিশুদের বৃদ্ধিশক্তি ও আচরণগত বিকাশেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। কিছু খেলনায় এমনকি এমন রাসায়নিক থাকে, যেগুলো শিশুর প্রজনন ক্ষমতা ও স্নায়ুতন্ত্রের ওপর স্থায়ী ক্ষতি করে।

কী ধরনের খেলনা সবচেয়ে বিপজ্জনক?

  • খুব উজ্জ্বল রঙের প্লাস্টিক খেলনা
  • নাম না জানা ব্র্যান্ডের সস্তা খেলনা
  • চায়না বা অননুমোদিত দেশ থেকে আমদানি করা খেলনা
  • কৌতূহল জাগানো ধাতব বা চৌম্বক খেলনা

প্রতিকার কী?

  1. ব্র্যান্ড যাচাই করুন: মানসম্পন্ন ও নির্ভরযোগ্য ব্র্যান্ডের খেলনা কিনুন।
  2. ‘Non-Toxic’ বা ‘BPA-free’ লেবেল খুঁজুন: খেলনার গায়ে ‘বিষমুক্ত’ বা আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সার্টিফিকেট আছে কি না, যাচাই করুন।
  3. কাপড় বা কাঠের খেলনায় আগ্রহী হোন: প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি খেলনা তুলনামূলকভাবে নিরাপদ।
  4. প্লাস্টিকের গন্ধযুক্ত খেলনা এড়িয়ে চলুন: তীব্র গন্ধ থাকলে তা রাসায়নিকের উপস্থিতির ইঙ্গিত হতে পারে।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, “আমাদের সমাজে সচেতনতার অভাবে অনেকেই না জেনে শিশুদের হাতে বিপজ্জনক খেলনা তুলে দিচ্ছেন। অথচ এই খেলনাই হতে পারে ভবিষ্যতের মৃত্যুফাঁদ।”

শিশুর জন্য খেলনা নির্বাচন মানে শুধু আনন্দ নয়—এটি তার স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও ভবিষ্যতের দায়িত্ব। তাই একবার চিন্তা করে দেখুন, আপনি কি সত্যিই তাকে খেলনা দিচ্ছেন, নাকি এক নিঃশব্দ বিপদ?

সূত্রঃ https://www.stoppoisonplastic.org/blog/study-finds-every-tested-plastic-toy-contains-chemicals-linked-to-cancer-and-reproductive-disorders/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *