কোপা আমেরিকার গ্রুপ পর্বে চিলির বিপক্ষে মাঠেই চিকিৎসা নিতে হয়েছিল লিওনেল মেসিকে। এরপর পেরুর বিপক্ষে ম্যাচটি খেলতে পারেননি আর্জেন্টিনার অধিনায়ক। কলম্বিয়ার বিপক্ষে কোপা আমেরিকার ফাইনালে নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলাও শেষ করতে পারলেন না মেসি। পায়ের ইনজুরি নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছেড়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে তুলে দিলেন প্রশ্ন -এটাই কি মেসির শেষ?
৩৮ এ পা দিয়েছেন গত মাসে। আগের মতো আর দৌড়াতেও পারেন না। তারপরও ভয়ঙ্কর মেসি। ক্ষুধা কমেনি মোটেও। কিন্তু শরীরটা ঠিকঠাক সঙ্গ দিচ্ছে না তাকে। চলমান কোপা আমেরিকায় নিজের খেলাটা খেলতে পারলেন কই! ইনজুরিতে নাকাল হয়ে মাঠেই বেরিয়ে পড়ল তার বিধ্বস্ত চেহারাটা। ডাগআউটে বসে মেসিকে কাঁদতে দেখার ছবিটা কাঁদাচ্ছে অসংখ্য সমর্থকদের।
সেই সঙ্গে শঙ্কাও দানা বাঁধছে – মেসি কি এবার অবসরের ঘোষণাই দিয়ে দেবেন? শঙ্কা অমূলক নয় মোটেই। গত গ্রীষ্মে ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেয়ার পর থেকেই যে ইনজুরি ভোগাচ্ছে তাকে। ২০২৩-২৪ মৌসুমে সব মিলিয়ে ইনজুরির কারণে ৫৭ দিন মাঠের বাইরে কাটাতে হয়েছে তাকে। এ সময়ে মোট ৬টি ছোট বড় ইনজুরির কারণে মোট ১৭টি ম্যাচ মিস করেছেন তিনি। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে এর চেয়ে বেশি ম্যাচ শুধু তিনবারই মিস করেছেন মেসি।
তবে আসল শঙ্কার জায়গা মেসির বর্তমান ইনজুরির ধরণে। অতীতে বিভিন্ন সময়ে মেসি বেশি সংখ্যক ম্যাচ মিস করেছেন বড় ধরণের ইনজুরির কারণে। কিন্তু সাম্প্রতিককালে প্রায়ই ছোটখাট ইনজুরিতে ভুগছেন তিনি। টানা ম্যাচ খেলার ধকল নিতে পারছে না শরীর। চলমান কোপা আমেরিকায় তিনি কতোটা ফিট অবস্থায় খেলতে নেমেছেন তাও প্রশ্নসাপেক্ষ ব্যাপার।
কলম্বিয়ার বিপক্ষে ফাইনালের প্রথমার্ধেই অস্বস্তি নিয়ে খেলছিলেন মেসি। কিন্তু সান্তিয়াগো আরিয়াসের চ্যালেঞ্জে আঘাত পেয়ে ডান পায়ের হাঁটু চেপে ধরে গড়াগড়ি খেয়েছেন তিনি। সেই আঘাতের কারণেই শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয়ার্ধের ৬৬ মিনিটে মাঠ ছাড়তে হয় মেসিকে। মাঠ ছেড়ে ড্রেসিং রুমে ফেরার পর তাকে কাঁদতে দেখা যায়। এর আগেই মেসি জানিয়েছিলেন, তার বিদায়ের আর খুব বেশিদিন বাকি নেই। ধারণা করা হচ্ছে, এটিই তার শেষ কোপা আমেরিকা টুর্নামেন্ট।
দুই বছর পর যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে গড়াবে ফিফা বিশ্বকাপের আসর। ততদিনে মেসি পা দেবেন ৪০ এ। ইনজুরিতে নাকাল মেসি ততদিন পারবেন ক্যারিয়ার টেনে নিতে?
Leave a Reply