free tracking

রাতে এই ৫ উপসর্গ দেখা দিলেই সতর্ক হোন, হতে পারে কিডনি রোগের ইঙ্গিত!

কিডনি আমাদের শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যা রক্ত পরিশোধন থেকে শুরু করে অতিরিক্ত পানি ও বর্জ্য অপসারণে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য, কিডনি রোগ অনেক সময় নিরবেই শরীরে বাসা বাঁধে। বিশেষ করে রাতে কিছু নির্দিষ্ট উপসর্গ দেখা দিলে তা হতে পারে কিডনি সমস্যার প্রাথমিক ইঙ্গিত।

চিকিৎসকদের মতে, কিডনির কার্যক্ষমতা কমে গেলে শরীর বিভিন্ন উপায়ে সংকেত দেয়, যার অনেকগুলোই রাতে বেশি প্রকট হয়। নিচে উল্লেখ করা হলো এমন ৫টি উপসর্গ, যা রাতে দেখা দিলে অবশ্যই সতর্ক হওয়া উচিত—

১. ঘন ঘন প্রস্রাব

রাতে ঘুম ভেঙে বারবার প্রস্রাবের বেগ অনুভব কিডনি রোগের অন্যতম প্রধান লক্ষণ হতে পারে। সাধারণত কিডনি ঠিকভাবে ফিল্টারিং করতে না পারলে শরীরে অতিরিক্ত বর্জ্য জমা হয়, যা বেশি প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।

২. পা ও গাঁটে ফুলে ওঠা

রাতে ঘুমানোর সময় অনেকেই পা বা গোড়ালিতে ফোলা অনুভব করেন। এটি শরীরে অতিরিক্ত তরল জমে থাকার লক্ষণ হতে পারে, যা কিডনির অকার্যকারিতার ফল। কিডনি সঠিকভাবে তরল অপসারণে ব্যর্থ হলে এমনটি ঘটে।

৩. নিশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া

রাতে হঠাৎ নিশ্বাসের কষ্ট কিংবা শ্বাস নিতে অসুবিধা হওয়া কিডনির কার্যক্ষমতা হ্রাসের পরোক্ষ ইঙ্গিত হতে পারে। কিডনি দুর্বল হলে শরীরে তরল জমে গিয়ে ফুসফুসে প্রভাব ফেলতে পারে, যার ফলে নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়।

৪. অস্থিরতা ও অনিদ্রা

কিডনি সঠিকভাবে বর্জ্য অপসারণ না করলে ইউরিয়া ও টক্সিন রক্তে জমে গিয়ে রাতে ঘুমে বিঘ্ন ঘটায়। ঘন ঘন জাগা, অস্থিরতা বা অনিদ্রা এই সমস্যা বাড়িয়ে তোলে।

৫. পেশিতে টান ও ব্যথা

রাতের বেলায় পেশিতে টান ধরা বা ব্যথা অনুভব করা অনেক সময় ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতার ফল, যা কিডনির অকার্যকারিতার কারণে হয়। ক্যালসিয়াম, ফসফরাস বা পটাশিয়ামের অনিয়ম কিডনি রোগে সাধারণ।

করণীয় কী?

এই উপসর্গগুলোর যেকোনো একটি বা একাধিক নিয়মিতভাবে দেখা দিলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। পাশাপাশি রক্তে ক্রিয়েটিনিন ও ইউরিয়া পরীক্ষা, প্রস্রাব পরীক্ষা ও আল্ট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে কিডনির অবস্থা যাচাই করা যায়।

প্রতিরোধে যা করবেন:

  • পর্যাপ্ত পানি পান করুন
  • অতিরিক্ত লবণ ও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন
  • ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন
  • নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান

কিডনি রোগ নিরব ঘাতক হিসেবে পরিচিত। তাই রাতে শরীরের দেওয়া সতর্ক সংকেতগুলো অবহেলা না করে সচেতন হলেই প্রতিরোধ করা সম্ভব হতে পারে এই মারাত্মক সমস্যা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *