free tracking

যে কারণে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দিল সরকারি চাকুরীজীবীরা!

সরকারি চাকরি অধ্যাদেশকে কর্মচারী বিরোধী ও কালো আইন উল্লেখ করে সদ্য জারিকৃত এ আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরাম ও বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ।

শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশে এ দাবি জানান সংগঠন দুটির নেতারা। এ সময় তারা ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা ও নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নসহ ৭ দাবি জানান।

কর্মসূচিতে ১৫ শতাংশ সুবিধা ভাতা প্রত্যাহারের দাবি করছেন। তারা বলছেন, এ ভাতা কার্যকর হওয়ার ফলে তাদের বর্তমান ৫ শতাংশ বিশেষ প্রণোদনা বাতিল হয়ে যাবে, যা তাদের জন্য একটি ক্ষতির কারণ হবে। তারা এ সুবিধা বহাল রাখার পাশাপাশি, নতুন করে ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা প্রদানেরও দাবি করছেন।

গত ২৫ মে সরকার ‌‌‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করে। এতে বলা হয়, ৪টি শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধে বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধু কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুত করা যাবে। কর্মচারীরা এটিকে ‘নিবর্তনমূলক ও কালো আইন’ আখ্যা দিয়েছেন।

বক্তারা বলছেন,সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের মাধ্যমে সরকার একটি কালো আইন তৈরি করা নজির দেখিয়েছে। এ আইনের মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার হবে। এতে কর্মচারীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অবিলম্বে আইন বাতিলের দাবি জানান তারা। দাবি আদায় না হলে আরও কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন বক্তারা। কর্মসূচিতে সচিবালয় ছাড়াও বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা অংশ নিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *