প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়সীমা ঘোষণার পর থেকে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে রাজনীতির মাঠ। পাশাপাশি তৎপর হচ্ছে নির্বাচন কমিশনও।
জাতীয় নির্বাচনের দিনক্ষণ এখনো চূড়ান্ত হয়নি। মৌলিক সংস্কারের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হলে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভোট হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নানা সন্দেহ-সংশয়ের অবসান হয়েছে। তারাও এখন নির্বাচনি মাঠ গোছাতে তৎপর।
শুধু তাই নয়, রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ নেতারা কে কোন আসন থেকে লড়বেন সেটিও প্রায় নির্ধারণ করে ফেলেছেন। সেই মোতাবেক নির্বাচনি প্রচারণাও শুরু করেছেন।
এদিকে কুমিল্লা-৪ (দেবীদ্বার) আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীরাও নির্বাচনি প্রচারণা শুরু করেছেন। এতে নবীন-প্রবীণ ও হেভিওয়েট প্রার্থী মিলিয়ে এবার বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ ও ইসলামি দলগুলোর মনোনয়নপ্রত্যাশীর সংখ্যা অর্ধশতাধিক। ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষ্যে মাঠে নেমে পড়েছেন তারা। চেষ্টা করছেন নানা সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে জনগণের দ্বারে দ্বারে যেতে।
কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক বুকে আগলে রেখেছে দেবীদ্বার উপজেলা। যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় আসনটির গুরুত্ব রয়েছে সব মহলে। যুগ যুগ ধরে এলাকাটি বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। ধানের শীষের প্রতি রয়েছে ব্যাপক জনসমর্থন। তবে এবার দলটির অন্তর্কোন্দল ও গ্রুপিংয়ের কারণে পড়তে পারে নেতিবাচক প্রভাব।
মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন সাবেক এমপি মঞ্জুরুল আহসান মুন্সি ও তার ছেলে কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার রিজভীউল আহসান মুন্সি, কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এএফএম তারেক মুন্সি এবং রাজধানীর গুলশান থানা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এমএ আউয়াল খান।
তাদের সবাইকে ছাপিয়ে এবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন এনসিপি দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। দলটির মনোনয়নে তিনি প্রার্থী হতে পারেন বলে অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গেছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে তার নেতৃত্ব ও নতুন বাংলাদেশে তার ভূমিকায় জনপ্রিয়তা ক্রমেই বাড়ছে। এতে ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে ভোটের মাঠে। এমনকি অন্তর্কোন্দল মেটাতে না পারলে বিএনপির একাংশেরও হাসনাতের পক্ষে কাজ করার সম্ভাবনা রয়েছে ।
এ আসনেও একক প্রার্থী দিয়েছে জামায়াত। দলটির উত্তর জেলা সেক্রেটারি সাইফুল ইসলাম শহীদকে আগেই মনোনয়ন দেওয়ায় নানা কর্মসূচির মাধ্যমে চালাচ্ছেন ব্যাপক প্রচার। ইতোমধ্যে উপজেলার কোনায় কোনায় ঢুঁ মারছেন তিনি। বাড়ানোর চেষ্টা করছেন ভোট। তবে আর কোনো দলের তেমন তৎপরতা দেখা যায়নি।
Leave a Reply