কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের পর দেশের পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিকেল কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাতে ইউজিসির সচিব ফেরদৌস জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এই বিজ্ঞপ্তি দেশের পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের পাঠানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় দেশের সব পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত মেডিকেল, টেক্সটাইল, ইঞ্জিনিয়ারিং ও অন্যান্য কলেজসহ সব কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
একই বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল ত্যাগ করে নিরাপদ আবাসস্থলে অবস্থানেরও নির্দেশনা দেয়া হয়।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে নিরাপত্তা ইস্যুতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পৃথক এক বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ ও প্রতিষ্ঠানসমূহ পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
এরআগে, রাতে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি এইচএসসি ও সমমানের বৃহস্পতিবারের (১৮ জুলাই) পরীক্ষা স্থগিত করে। পাশাপাশি দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এরআগে, দিনভর আন্দোলনকারীরা শহীদ মিনার, দোয়েল চত্বর এবং চানখারপুল এরাকায় অবস্থান নেন। রাত সাড়ে সাতটার দিকে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের দিকে যাওয়ার ঘোষণা দেন। উপাচার্যের বাসভবনের সামনে কিছুক্ষণ অবস্থানের পর তারা আজকের কর্মসূচি সমাপ্তির ঘোষণা দেন।
সমন্বয়কারী হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আজকের মতো কর্মসূচি শেষ হলো। আগামীকালের কর্মসূচি আজ রাতে আলোচনা করে ঘোষণা করা হবে। এ সময় রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে নিহতের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানান তিনি।
এদিকে মঙ্গলবার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও পুলিশের দিনভর সংঘর্ষে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রংপুর ৬ জন নিহত হয়েছেন। রাজধানীতে সংঘর্ষে দেড় শতাধিক আহত এবং দুই জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
Leave a Reply