দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য দীর্ঘদিনের এক উদ্বেগের অবসান ঘটতে যাচ্ছে। প্রবাসে মৃত্যুর পর মরদেহ দেশে ফেরত পাঠানো নিয়ে যে অনিশ্চয়তা বহুদিন ধরে তৈরি ছিল, সেটির দায়িত্ব এখন থেকে সরকার নিজেই নেবে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তার বরাতে জানা গেছে, এখন থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় মারা যাওয়া বাংলাদেশিদের মরদেহ দেশে পাঠানো হবে সম্পূর্ণ সরকারি অর্থে। শুধু তাই নয়, বিএমইটি কার্ডধারী শ্রমিকদের পরিবার পাবেন সরকারের বীমা ও ক্ষতিপূরণ সুবিধা।
দক্ষিণ কোরিয়ায় কর্মরত প্রায় ৩০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য এটি নিঃসন্দেহে একটি বড় আশ্বাস। অতীতে অর্থাভাবে বহু মরদেহ মর্গে পড়ে থাকত, কিংবা কখনো প্রিয়জনদের না জানিয়েই প্রবাসের মাটিতে দাফন করতে হতো।
এখন থেকে এই পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি রোধে সরকার নিজেই প্রক্রিয়াটি তদারক করবে। মরদেহ দেশে পাঠানোর খরচসহ, যদি বিএমইটি কার্ড বৈধ থাকে (মেয়াদ কমপক্ষে ৫ বছর), তাহলে মৃত শ্রমিকের পরিবার সরকারের কাছ থেকে বীমা সুবিধাও পাবে।
প্রবাসী সমাজ এই ঘোষণাকে স্বাগত জানালেও তারা চান, এই সিদ্ধান্ত যেন ফাইলের ধুলো না খেয়ে বাস্তবায়িত হয় দ্রুততম সময়ে। কারণ প্রতিটি জীবনই গুরুত্বপূর্ণ, আর প্রবাসীর মর্যাদা ও মর্যাদার শেষ বিদায় নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের নৈতিক দায়ও বটে।
Leave a Reply