শুরুর ধাক্কা সামলে দলকে বড় পুঁজি এনে দিলেন লিটন কুমার দাশ ও শামীম হোসেন। পরে বল হাতে জ্বলে উঠলেন শরিফুল ইসলাম, মোহাম্মাদ সাইফউদ্দিন, রিশাদ হোসেনরা। শ্রীলঙ্কাকে গুঁড়িয়ে সিরিজে সমতা আনল বাংলাদেশও।
ডাম্বুলা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কাকে ৮৩ রানে হারিয়েছে টাইগাররা। ১৭৮ রানের লক্ষ্যে ১৫.২ ওভারে ৯৪ রানে গুটিয়ে যায় লঙ্কানরা।
এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-১ সমতা আনল সফরকারী দল।
ব্যাট হাতে ৫০ বলে ৫ ছক্কা ও ১ চারে ৭৬ রান করেন লিটন। ২৭ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৪৮ রান করার পর শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে মোক্ষম আঘাত হানেন শামীম। দ্বিতীয় ওভারেই সরাসরি থ্রোয়ে রান আউট করেন ভয়ঙ্কন কুসল মেন্ডিসকে।
পরে বল হাতে ১৮ রানে ৩ উইকেট নেন রিশাদ। দুটি করে শিকার ধরেন শরিফুল ও সাইফউদ্দিন, একটি করে মিরাজ ও মোস্তাফিজ।
পাওয়ারপ্লের মাঝে শ্রীলঙ্কার চার উইকেট তুলে নিয়েছে সফরকারীরা। দারুণ ফর্মে থাকা কুসল মেন্ডিসকে দ্বিতীয় ওভারেই সরাসরি থ্রোয়ে রান আউট করেন শামীম। পরের ওভারে রিশাদের হাতে কুসল পেরেরাকে ক্যাচ বানান দলে ফেরা শরিফুল ইসলাম। নিজের পরের ওভারে অভিস্কা ফার্নান্ডোকে শামীমের ক্যাচে পরিণত করেন এই বাঁহাতি পেসার। পরের ওভারে চারিথ আসালাঙ্কাকে ফিরিয়ে প্রতিপক্ষ ব্যাটিং লাইন আপ প্রবল চাপে ফেলে দেন মোহাম্মাদ সাইফউদ্দিন।
১১ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারানো দলকে লড়াইয়ে ফেরানোর চেষ্টা করেন ওপেনার পাতুম নিশাঙ্কা ও দাসুন শানাকা। জোড়া আঘাতে সেই চেষ্টা চুরমার করে দেন রিশাদ হোসেন।
পঞ্চম উইকেট জুটি থেকে আসে ৩১ বলে ইনিংস সর্বোচ্চ ৪১ রান। ২৯ বলে ৩২ রান করা নিশাঙ্কাকে স্টাম্পিংয়ের ফাদে ফেলেন রিশাদ। এক বল পর নতুন ব্যাটার চামিকা কারুনারত্নেকে ফিরতি ক্যাচ বানান এই লেগ স্পিনার।
মিরাজের করা পরের ওভারে শানাকাও (১৬ বলে ২০) ফিরলে জয়ের পথ রচনা করে ফেলে বাংলাদেশ।
আগের ম্যাচের একাদশে তিন পরিবর্তন নিয়ে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশের শুরুটা ছিল খুবই বাজে। প্রথম দুই ওভারে স্রেফ ৭ রানে বিদায় নেন দুই ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ও তানজিদ হাসান। ৫৫ বলে ৬৯ রানের জুটিতে সেই ধাক্কা সামাল দেন লিটন ও হৃদয়।
হৃদয়ের বিদায়ে ভাঙে জুটি। ২৫ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ৩১ রান করেন হৃদয়। একই ওভারে বিনুরার শিকার হয়ে ফেরেন নতুন ব্যাটার মিরাজও।
এরপর সেরা জুটি পায় বাংলাদেশ। ৩৯ বলে ৭৭ রান যোগ করেন লিটন ও শামীম। ১৯তম ওভারের প্রথম বলে মাহেশ থিকসানাকে হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন। অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে ৫০ বলে ১ চার ও ৫ ছক্কায় ৭৬ রান।
শেষ ওভারে টানা দুই বলে রান আউট হন চোট কাটিয়ে ফেরা জাকের আলি ও শামীম। উইকেটকিপারের হাতে বল রেখে রান নিতে গিয়ে আউট হন দুজনই। ২৭ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৪৮ রান করেন শামীম।
শেষ বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে সংগ্রহটা বাড়ান মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
৪ ওভারে ৩১ রানে ৩ উইকেট নিয়ে শ্রীলঙ্কার সফলতম বোলার বিনুরা ফার্নান্ডো।
Leave a Reply