free tracking

নোবেল জিতলেন কী করে? জানুন ড. ইউনূসের অবদান!

ড. ইউনূসের পথচলা শুরু হয়েছিল বাংলাদেশে দারিদ্র্য দূরীকরণের এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ দিয়ে। তিনি উপলব্ধি করেন, প্রথাগত ব্যাংকিং ব্যবস্থা দরিদ্র মানুষকে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে অনাগ্রহী। অথচ কিছু মূলধন পেলে অসংখ্য মানুষ আত্মনির্ভর হতে পারে।

এই চিন্তা থেকেই তিনি চালু করেন ‘ক্ষুদ্রঋণ’ পদ্ধতি যেখানে জামানত ছাড়াই স্বল্প অঙ্কের ঋণ দেওয়া হয় দরিদ্র, বিশেষ করে গ্রামীণ নারীদের।

বিশ্বব্যাপী ক্ষুদ্রঋণ ধারণার প্রবক্তা ও সামাজিক ব্যবসার পথপ্রদর্শক হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস পেয়েছেন শান্তিতে নোবেল পুরস্কার। ২০০৬ সালে নরওয়ের নোবেল কমিটি তাঁকে ও তাঁর প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংককে এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারে ভূষিত করে।

গ্রামীণ ব্যাংকের এই মডেল কেবল অর্থনৈতিক সহায়তা নয়, এটি হয়ে উঠেছে সামাজিক পরিবর্তনের হাতিয়ার। নারী ক্ষমতায়ন, উদ্যোক্তা তৈরি এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এই তিনটি ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে এই ব্যাংক। বর্তমানে বিশ্বের বহু দেশে ড. ইউনূসের ক্ষুদ্রঋণ মডেল অনুসরণ করা হচ্ছে।

নোবেল কমিটি ড. ইউনূসকে এই পুরস্কার দেয় এই বিবেচনায় যে, তিনি “সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠায় নতুন একটি দৃষ্টিভঙ্গি” দিয়েছেন। অর্থাৎ তিনি দেখিয়েছেন, দারিদ্র্য দূরীকরণ কেবল অর্থনৈতিক উন্নয়ন নয়, এটি বিশ্বশান্তিরও এক গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি।

ড. ইউনূসের নোবেল জয় শুধু তার ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, এটি বাংলাদেশের জন্যও গর্বের। তার কাজ প্রমাণ করেছে, নতুন ভাবনায় সামাজিক পরিবর্তন আনা সম্ভব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *