free tracking

এই ভুলটি করছেন না তো আঁচিলে চুল পেঁচালে হতে পারে ক্যানসারসহ ভয়াবহ ক্ষতি!

নিজস্ব প্রতিবেদক: ত্বকের একটি সাধারণ সমস্যার নাম আঁচিল। অনেকের শরীরেই দেখা যায় তিলের মতো ছোট, শক্ত এই মাংসপিণ্ড। দেখতে নিরীহ মনে হলেও, আঁচিল সবসময় নিরাপদ নয়। চিকিৎসকদের মতে, কিছু আঁচিল হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (HPV)-এর কারণে হয়ে থাকে, যা ক্যানসারের ঝুঁকিও বাড়াতে পারে।

অনেকেই আঁচিল দূর করার জন্য চুল বা সুতো পেঁচিয়ে রাখার ঘরোয়া পদ্ধতি অনুসরণ করেন। প্রচলিত বিশ্বাস, এতে আঁচিল শুকিয়ে পড়ে যায়। তবে চিকিৎসকরা এই পদ্ধতিকে বিপজ্জনক বলেই মনে করেন।

চুল বা সুতো পেঁচালে কী ক্ষতি হয়?আঁচিলের গোড়ায় চুল বা সুতো পেঁচালে সেখানকার ত্বকে চাপ ও ঘর্ষণ তৈরি হয়। এর ফলে দেখা দিতে পারে নানা সমস্যা—

রক্তক্ষরণ

ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসজনিত সংক্রমণ

প্রদাহ, চুলকানি বা পুঁজ হওয়া

স্থায়ী দাগ বা ত্বকের ক্ষত

চিকিৎসকদের মতে, অনেক সময় আঁচিল খসে পড়লেও তার মূল শিকড় ত্বকের ভেতরে থেকেই যায়। ফলে একই জায়গায় পুনরায় আঁচিল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

আঁচিলের কারণ কী?আঁচিল সাধারণত হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (HPV)-এর সংক্রমণে হয়। ভাইরাসটি ত্বকের উপরিভাগে কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির মাধ্যমে আঁচিল তৈরি করে। এটি সংক্রামক এবং একজন থেকে অন্যজনের শরীরে ছড়াতে পারে।

আঁচিল দূর করার নিরাপদ উপায়চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিচের আধুনিক ও কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতিগুলোর সাহায্যে আঁচিল থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব—

স্যালিসাইলিক অ্যাসিডযুক্ত ওষুধ: নিয়মিত ব্যবহারে আঁচিল ধীরে ধীরে কমে যেতে পারে।

ইলেক্ট্রোকটারি (Electrocautery): বৈদ্যুতিক তরঙ্গের মাধ্যমে আঁচিল পুড়িয়ে ফেলা হয়।

ক্রায়োথেরাপি: তরল নাইট্রোজেন দিয়ে আঁচিল জমিয়ে ফেলা হয়।

লেজার থেরাপি: আধুনিক প্রযুক্তি, তবে ব্যয়বহুল।

চিকিৎসকরা বলেন, আঁচিলের চিকিৎসায় ঘরোয়া টোটকা নয়, বরং চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়াই সবচেয়ে নিরাপদ ও কার্যকর পদ্ধতি। কারণ, অবহেলা করলে ত্বকে স্থায়ী ক্ষত তো হয়ই, সেই সঙ্গে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিও তৈরি হতে পারে।সবার আগে সর্বশেষ খবর পেতে sportshour24-এর সাথেই থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *