সকালে ঘুম থেকে উঠে দিনের কাজ শুরু করার কথা, কিন্তু অনেকেই টের পান—চোখ খুললেও শরীর ও মন যেন এখনো ঘুমেই রয়ে গেছে। এই ঘুমঘুম ভাব সারাদিনের কার্যক্ষমতায় প্রভাব ফেলে। কেন এমন হয়? আর কীভাবে এই সমস্যা দূর করবেন? চলুন জেনে নিই কার্যকর কিছু উপায়:-
কেন হয় ঘুমঘুম ভাব?
🔹 ঘুম পূর্ণ না হওয়া
🔹 একঘেয়ে ঘুমের রুটিন
🔹 ডিহাইড্রেশন
🔹 ঘুম থেকে উঠেই মোবাইল দেখা
🔹 ভিটামিন ডি ঘাটতি
🔹 রক্তচাপ বা সুগারের তারতম্য
🔹 মানসিক চাপ বা বিষণ্নতা
✅ ঘুমঘুম ভাব দূর করতে যা করবেন:
১. আলো মুখে পড়তে দিন
ঘুম থেকে উঠেই পর্দা সরিয়ে দিনের আলো ঘরে ঢুকতে দিন। প্রাকৃতিক আলো আমাদের মস্তিষ্কে “ওয়েক আপ সিগনাল” পাঠায়।
২. ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন
মাথা ও চোখে ঠান্ডা পানি দিলে শরীর সতেজ হয়, ঘুম ভাব কেটে যায়।
৩. হালকা স্ট্রেচিং বা হাঁটাহাঁটি করুন
ঘুমের পর মাংসপেশি ধীর হয়ে যায়। হালকা ফিজিক্যাল মুভমেন্ট রক্তসঞ্চালন বাড়ায়, মন-শরীর চাঙ্গা করে তোলে।
৪. পানি খান
রাতে দীর্ঘক্ষণ পানি না খাওয়ার ফলে ডিহাইড্রেশন হয়। সকালে অন্তত ১ গ্লাস পানি খেয়ে দিন শুরু করুন।
৫. ক্যাফেইন নয়, গরম লেবুপানি/গ্রিন টি
চটজলদি কফির দিকে না ছুটে প্রথমেই পান করুন লেবুপানি বা গ্রিন টি। এটি হজম শক্তি বাড়ায় ও সতেজ রাখে।
৬. মোবাইল বা স্ক্রিন এড়িয়ে যান
ঘুম থেকে উঠেই স্ক্রিন দেখা চোখ ও মস্তিষ্ককে ধীর করে তোলে। বরং ৩০ মিনিট নিজের সঙ্গে থাকুন—দোয়া, মেডিটেশন বা কিছু লিখে দিন শুরু করুন।
৭. নিয়মিত ঘুমের সময় মেনে চলুন
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ঘুমানো ও জাগার অভ্যাস করলে বডি ক্লক সঠিকভাবে কাজ করে এবং ঘুমঘুম ভাব কমে যায়।
ঘুমঘুম ভাব যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় বা তার সঙ্গে মাথা ঘোরা, দুর্বলতা, মনোযোগহীনতা দেখা দেয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কারণ এটি আয়রন, ভিটামিন বি-১২, থাইরয়েড বা ডিপ্রেশনের লক্ষণ হতে পারে।
দিন শুরু হোক চাঙ্গাভাবে। নিয়মিত অভ্যাসেই মিলবে সমাধান!
Leave a Reply