মানুষের দেহে রক্তকে পরিষ্কার রাখতে যে অঙ্গটি সবচেয়ে গুরুত্ব বহন করে সেটি হলো কিডনি। এটি রক্ত পরিশোধন করে শরীর থেকে বর্জ্য ও দূষিত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে। পাশাপাশি শরীরে পানি ও খনিজের ভারসাম্য বজায় রাখতেও কিডনির ভূমিকা অপরিসীম। তাই কিডনির যেকোনো সমস্যা স্বাস্থ্যের ওপরে সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে।
১. মুখে দুর্গন্ধ থাকলে
২. অস্বাভাবিক স্থানে ফোলাভাব দেখা দিলে, যেমন- মুখ, হাত, এমনকি চোখের চারপাশে ফোলাভাব।
৩. চুলকানি এবং শুষ্ক ত্বক দেখা দিলে।
৪. শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে।
৫. ঘন ঘন পেশীতে খিঁচুনি হলে।
৬. সব সময় ঠান্ডা লাগা অনুভব দেখা দিলে এবং
৭. ক্লান্তি লাগলে।
তবে কিছু প্রাকৃতিক খাবার রয়েছে, যেগুলো নিয়মিত খেলে কিডনির কার্যক্ষমতা বাড়ানো সম্ভব। যেমন-
শসা দেহে পানির ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক। এতে প্রায় ৯৫ শতাংশ জলীয় অংশ থাকে, যা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে। শসা রক্ত পরিশোধনে সহায়তা করে এবং বর্জ্য পদার্থ কিডনির মাধ্যমে শরীর থেকে বের করে দিতে সাহায্য করে। এর ফলে শরীরে ক্রিয়েটিনিন ও ইউরিক এসিডের মাত্রাও নিয়ন্ত্রিত থাকে।
পাতিলেবু
প্রতিদিনের রান্নায় ব্যবহৃত পাতিলেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা কিডনিতে পাথর তৈরি হওয়া প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। সকালে খালি পেটে হালকা গরম পানিতে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে পান করলে ইউরিক এসিডের সমস্যা কমে যেতে পারে। তবে যারা অ্যাসিড রিফ্লাক্স বা গ্যাসের সমস্যায় ভোগেন, তাদের এটি সতর্কতার সঙ্গে খাওয়া উচিত।
পার্সলে
পার্সলে শুধু রান্নার স্বাদ বাড়ায় না, এটি কিডনির জন্যও অত্যন্ত উপকারী। এতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা কিডনিকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। পার্সলের মধ্যে থাকা ফ্ল্যাভনয়েড যেমন এপিজেনিন, লুটেওলিন ও কোয়ার্সেটিন কিডনির প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি হ্রাস করে।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
Leave a Reply