free tracking

পেঁয়াজ কেটে ফ্রিজে রাখার অভ্যাস? স্বাস্থ্যঝুঁকি জানিয়ে সতর্ক করলেন পুষ্টিবিদ!

একজন নারী জানেন রান্নার কাজ কতটা কঠিন। তবে শত কঠিন হওয়ার পরও ঠিকঠাকভাবে রান্না শেষ করার পর আবার রান্নাঘর সাজিয়েও রাখেন তিনি। এ ক্ষেত্রে এই কঠিন কাজ সুন্দরভাবে শেষ করার জন্য কিছু বিষয় আগে থেকেই প্রস্তুত করে রাখেন অনেকে। কেউ আদা-রসুন ও অন্যান্য মসলা শিল-পাটা বা ব্লেন্ডারে পেস্ট করে রেখে দেন ফ্রিজে। একইভাবে কেউ কেউ আবার সবজির মতোই পেঁয়াজও কেটে রেখে দেন।

এসবই করা হয় মূলত কাজগুলো গুছিয়ে ও সহজভাবে করার জন্য, যাতে রান্নার সময় অল্পতেই কাজ করা যায়। কিন্তু অনেকেই এই কাটা পেঁয়াজ ফ্রিজে রাখা নিয়ে নানা মন্তব্য করেন। কারও মতে―ফ্রিজে রাখা কাটা পেঁয়াজ খাওয়া ঠিক আছে, আবার কারও মতে এই পেঁয়াজ খাওয়া মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। এ নিয়ে যখন নানা বিতর্ক, তখন বিষয়টি স্পষ্ট করতে চ্যানেল 24 অনলাইনের সঙ্গে কথা বললেন রাজধানীর ঢাকা সাভারের ডিওএইচএসের প্রায়োরিটি হেলথ্ সার্ভিস বাংলাদেশের পুষ্টিবিদ শারমিন নকশী।

এ পুষ্টিবিদ বলেন, পেঁয়াজ হচ্ছে একটি মসলাজাতীয় উপাদান। এতে সালফার রয়েছে। এ কারণে খেয়াল করলে দেখবেন, পেঁয়াজ কাটার সময় চোখ থেকে আপনাআপনিই পানি পড়ে। আর সালফার হচ্ছে পেঁয়াজে ব্যাকটেরিয়া জন্মের প্রধান কারণ।

তিনি বলেন, এই সালফারের কারণেই পেঁয়াজে ব্যাকটেরিয়ার সৃষ্টি হয়। এতে প্যাথোজেনিক নামক ব্যাকটেরিয়ার জন্ম হয়, যা বাতাসে থাকে এবং পেঁয়াজকে অক্সিডাইজের মাধ্যমে নষ্ট করতে থাকে। ফলে পেঁয়াজের পুষ্টিগুণ হ্রাস পায়। একইসঙ্গে এ ধরনের পেঁয়াজ খাওয়া হলে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

শারমিন নকশী বলেন, পেঁয়াজ কখনো আগে কেটে রাখা উচিত নয়। কেটে রাখা পেঁয়াজ খাওয়া হলে পেটের সমস্যাও দেখা দেয়ার সম্ভাবনা থাকে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা কেটে রাখা ফল ও সালাদ খেতে নিষেধ করেন। শুধু পেঁয়াজ কেটে রাখা না, এমনকি পেঁয়াজ খোসা ছাড়িয়েও রাখা যাবে না। এতেও ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে। পেঁয়াজ রান্নার আগ মুহূর্তে কেটে তবেই ব্যবহার করতে হবে পরামর্শ দিলেন এ পুষ্টিবিদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *