ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে গত ১৫ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় বৈঠকে বসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ওই দিন প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে ইউক্রেন শান্তিচুক্তি নিয়ে আলোচনা করেন দুই নেতা।
কেন নেওয়া হয় এই ব্যবস্থা?
বিশ্ব গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, পুতিনের বিদেশ সফরের সময় তার দেহরক্ষীরা নিয়মিতভাবে তার মল সংগ্রহ করেন এবং তা রাশিয়ায় ফিরিয়ে নিয়ে যান। এই ব্যবস্থা নেওয়া হয় মূলত পুতিনের স্বাস্থ্যগত তথ্য গোপন রাখতে। বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলো যেন তার শারীরিক অবস্থা বিশ্লেষণ করতে না পারে, সেই নিরাপত্তা থেকেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
এই ঘটনা নতুন নয়। ২০১৭ সালে ফ্রান্স সফরের সময় এবং পরে ভিয়েনা সফরেও পুতিনের মল সংগ্রহ করে রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। ২০২২ সালে ফরাসি ম্যাগাজিন Paris Match এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বিষয়টি প্রথম আলোচনায় আসে। পরে সাবেক BBC সাংবাদিক ফরিদা রুস্তমোভা ও সাবেক DIA কর্মকর্তা রেবেকা কফলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
শুধু পুতিনই নন, শীতল যুদ্ধের সময়ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এমন পন্থা অবলম্বন করেছে। সাবেক সোভিয়েত এজেন্ট ইগর আতামেনকো জানান, জোসেফ স্ট্যালিন চীন নেতা মাও সেতুংয়ের মল পরীক্ষা করে তার মনস্তাত্ত্বিক প্রোফাইল তৈরির চেষ্টা করেছিলেন। এমনকি মস্কো সফরে মাওয়ের জন্য বিশেষ টয়লেট বানানো হয়েছিল যা ড্রেনের সঙ্গে সংযুক্ত ছিল না। তার বর্জ্য আলাদাভাবে সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠানো হতো।
৭২ বছর বয়সী পুতিনের স্বাস্থ্য নিয়ে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নানা গুঞ্জন রয়েছে। গত নভেম্বরে কাজাখস্তানে এক সংবাদ সম্মেলনে তার পা কাঁপতে দেখা যায়, যা পার্কিনসনস রোগ বা অন্য কোনও স্নায়ুজনিত অসুস্থতার ইঙ্গিত হতে পারে বলে চিকিৎসকেরা মত দিয়েছিলেন।
সূত্র: NDTV
Leave a Reply