free tracking

নিউরোলজিস্টদের মতে যে ৫টি অভ্যাস মস্তিষ্ক সুস্থ রাখে!

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্ককে তীক্ষ্ণ রাখা এবং ডিমেনশিয়া ও মানসিক অবসাদের মতো সমস্যা থেকে নিজেকে রক্ষা করা অনেকের ইচ্ছা। ২০২২ সালে ডানা ফাউন্ডেশন, রিসার্চ!আমেরিকা এবং জোগবি অ্যানালিটিক্স-এর একটি সমীক্ষা দেখিয়েছে, আমেরিকানদের মধ্যে মস্তিষ্ক ও মানসিক স্বাস্থ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তবে তাদের দুই-তৃতীয়াংশই মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য নিয়ে গবেষণা ও কার্যকর পদ্ধতি সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান রাখে না। সিএনবিসির এক সাক্ষাৎকারে নিউরোসায়েন্টিস্ট ও নিউরোলজিস্টরা মস্তিষ্ক সুস্থ রাখার ৫টি কার্যকর উপায় জানিয়েছেন। এগুলো হলো:

১. নিয়মিত হাঁটুন

নিউরোসায়েন্টিস্ট ও এনওয়াইইউ-এর অধ্যাপক ডা. ওয়েন্ডি সিজুকি বলেন, সবার জন্য ১০ মিনিটের হাঁটা যথেষ্ট; এটি উদ্বেগ ও অবসাদ কমাতে সাহায্য করে। দৈনন্দিন হাঁটা মস্তিষ্কে ডোপামিন ও সেরোটোনিনের মতো নিউরোকেমিক্যাল উৎপন্ন করে, এছাড়া বৃদ্ধির ফ্যাক্টর বাড়ায় যা মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। গুরুত্বপূর্ণ হলো  ধারাবাহিকতা। সপ্তাহ, মাস, বছর ধরে নিয়মিত হাঁটার মাধ্যমে ফলাফল আসবে।

২. ‘বিরক্তি এড়ান, চ্যালেঞ্জে থাকুন’

ডা. রিচার্ড রেস্টাক, যিনি ৮২ বছর বয়সে এখনও নতুন বই লিখছেন, আমি চেষ্টা করি বিরক্ত না হতে। নতুন শব্দ শিখি, মেমোরি এক্সারসাইজ করি, এবং মজারভাবে করি। নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করা, নতুন কিছু শেখা ও মস্তিষ্ককে সক্রিয় রাখা স্মৃতিশক্তি তীক্ষ্ণ রাখতে সাহায্য করে। ডা. লিসা ফেল্ডম্যান ব্যারেটের পরামর্শে কিছু কার্যকর কার্যক্রম হলো:

  • নতুন ভাষা শেখা
  • নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হওয়া
  • নতুন বই পড়া
  • মেমোরি গেম খেলা
  • নতুন জায়গা ভ্রমণ করা
  • চ্যালেঞ্জগুলো একটু কঠিন হলে আরও ভালো, যা মস্তিষ্ককে প্রেরণা দেয়।

৩. সামাজিক সংযোগ বজায় রাখুন

গুণগতমানসম্পন্ন সামাজিক সম্পর্ক মস্তিষ্কের জন্য অত্যন্ত উপকারী। হাসি-খুশি ও আনন্দদায়ক সামাজিক কার্যক্রম মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। একা হাঁটা বা স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া ভাল, তবে অন্যদের সঙ্গে করলে আরও বেশি সুবিধা পাওয়া যায়।

৪. আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখুন

নিজের আবেগকে নিয়ন্ত্রণে রাখা মস্তিষ্কের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ব্যারেট ও সিজুকি উভয়ই বলেন, আবেগকে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে মস্তিষ্ককে আরও নমনীয় করা যায়। ডা. সিজুকি সুপারিশ করেন  জয় কন্ডিশনিং চর্চা করতে, যা ইতিবাচক স্মৃতি মনে করে সেই অনুভূতি পুনঃরায় অনুভব করার মাধ্যমে করা যায়।

৫. নিজের মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য যাচাই করুন

‘ব্রেন কেয়ার স্কোর’ একটি পরীক্ষা যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য বোঝায়। এখানে সামাজিক সম্পর্ক, খাদ্যাভ্যাস, ঘুম, ধূমপান ও চাপ নিয়ন্ত্রণের মতো বিষয়গুলোর প্রশ্ন থাকে। উচ্চ স্কোর মানে মস্তিষ্ক সুস্থ। কম স্কোর থাকলে, প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলোর দিকে মনোযোগ দিলে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য উন্নতি করা সম্ভব।

মস্তিষ্ক সুস্থ রাখা কঠিন নয় হাঁটুন, নতুন চ্যালেঞ্জ নিন, সামাজিকভাবে সক্রিয় থাকুন, আবেগ নিয়ন্ত্রণ শিখুন এবং নিজের মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য নিয়মিত যাচাই করুন। এই পাঁচটি অভ্যাস মেনে চললে বয়স বাড়লেও মস্তিষ্ক থাকবে তীক্ষ্ণ ও সক্রিয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *