তিন যুগ পর আবারও ইউরোপা লিগের মুকুট পুনরুদ্ধারের হাতছানি জার্মান চ্যাম্পিয়ন বায়ার লেভারকুসেনের সামনে। হাই ভোল্টেজ ফাইনালে চলতি মৌসুমে অপরাজিত ক্লাবটির প্রতিপক্ষ সিরি আ’র দল আটালান্টা। এ ম্যাচ জিতে স্বপ্নের ট্রেবল জয়ের পথে আরও একধাপ এগিয়ে যেতে চায় জাবি আলোনসোর শিষ্যরা। ডাবলিনের আভিভা স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরু আজ বুধবার (২২ মে) রাত ১টায়।
ইউরোপের কুলীন নয় তারা। বারবার ব্যর্থ হওয়ায় ব্যঙ্গ করে প্রতিপক্ষরা ডাকে নেভারকুসেন। বুন্দেসলিগায় জিততে জিততে শিরোপা হাত থেকে ফেলে দিয়েছে তারা। হেরেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালেও। সেই নেভারকুসেন চলতি মৌসুমে নেভারলুসেন। লিগে হয়েছে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন। সকল টুর্নামেন্ট মিলিয়েও চলতি মৌসুমে একটা হারও দেখেনি বেয়ার লেভারকুসেন। আর এর নেপথ্যে মাস্টারমাইন্ড স্প্যানিশ কোচ জাবি আলনসো।
আলনসোর লেভারকুসেন ফুটবলীয় অমরত্ব থেকে মোটে আর দুই ধাপ দূরে। যে কোন ক্লাবের পরম আরাধ্য ট্রেবল জয়ের হাতছানি লেভারকুসেনের সামনে। বুন্দেসলিগার পর এবার ইউরোপা লিগে তিন যুগের অপেক্ষার অবসান করার চ্যালেঞ্জ। ১৯৮৭-৮৮ মৌসুমে তৎকালীন ইউরোপিয়ান কাপ (আজকের ইউরোপা লিগ) জিতেছিল এবং ওই একবারই সেটা করেছিল এরিক রিব্বেকের লেভারকুসেন।
এ মৌসুমে দ্যা ম্যাজিশিয়ান জাবি আলোনসো আর তার দলের খেলা দেখে মুগ্ধ হননি এমন ফুটবল ভক্ত হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। ফ্লোরিয়ান রিটজ, গ্রানিত জাকা, ভিক্টর বনিফেস, জেরেমি ফ্রিমপং, আলেহান্দ্রো গ্রিমালদো, জোনাথন টাহ নামগুলো গেঁথে গেছে ফুটবলপ্রেমীদের হৃদমাঝারে।
ডাবলিনের আভিভা স্টেডিয়াম দখলে নিতেও প্রস্তুত ডাই উয়েকসেলফ। জানা গেছে অর্ধলক্ষ ধারণ ক্ষমতা থাকলেও শুধু লেভারকুসেন থেকেই টিকিটের আবেদন পড়েছে তিন লাখ।
তবে নামের ভারিক্কিতেই মোটেও স্বস্তি খুঁজতে চাইবেন না জাবি আলোনসো। হাই ভোল্টেজ ফাইনালে চিরচেনা ৩-৪-২-১ ফর্মেশনে দলকে খেলাবেন তিনি। ইনজুরি কাটিয়ে ফিরছেন ফ্লোরিয়ান রিটজ, যা বাড়তি স্বস্তি দিচ্ছে তাকে। জাবি বলেন, ‘আটালান্টা প্রতিপক্ষ হিসেবে ভয়ঙ্কর। অন্তত পুরো টুর্নামেন্টে ওরা যেভাবে খেলেছে ফাইনালেও আমাদের স্বস্তিতে থাকতে দেবে না। তবে আমাদের সমর্থকদের জন্য আমরা ট্রফিটা জিততে চাই।
অন্যদিকে ইতিহাস ডাকছে আটালান্টাকে। ইউরোপের প্রথম তো বটেই সিরি বি’ বাদ দিলে ৬১ বছর পর প্রথম কোনো গুরুত্বপূর্ণ শিরোপা জয়ের হাতছানি তাদের সামনে। পাওয়া সুযোগের পুরোটাই কাজে লাগাতে চান জিয়ান পিয়েরি গাসপেরিনি। ৬৬ বছর বয়সী এই কোচ বলেন, ‘আমাদের সমর্থকরা একটা ট্রফি ডিজার্ভ করে। ছেলেরা প্রস্তুত। আমরা লেভারকুসেন নিয়ে ভাবছি না। মনেও করছি না, তারা চলতি মৌসুমে কি করেছে। আমরা শুধু আমাদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে চাই।’
দু’দলের এর আগের দুই সাক্ষাতে দুটোতেই জয় আটালান্টার। তাইতো ইতালির ক্লাবটির প্রথম নাকি লেভারকুসেনের দ্বিতীয়। উত্তর জানতে উন্মুখ প্রতীক্ষা।
Leave a Reply