বাংলাদেশে ফোর-জি চালুর পরের বছর ২০১৯ সালে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়া বাণিজ্যিকভাবে ফাইভ-জি চালু করে। বাংলাদেশে কয়েকবার পরীক্ষার পর এবার চালু হলো ফাইভ-জি প্রযুক্তি। কিন্তু অনেকেই হয়তো বুঝতেই পারছেন না ফাইভ-জি আসলে কীভাবে চালু করবেন এবং এর সুবিধা আসলে কতটুকু পাবেন।
ইন্টারনেট ব্যবহার করেন না এমন মানুষ বোধহয় দেশে খুঁজে পাওয়া একটু মুশকিলই বটে। স্মার্টফোন, ল্যাপটপ বা ডেস্কটপে ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। যোগাযোগ, ব্রাউজিং কিংবা ভিডিও দেখার কাছে ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। কিন্তু কাজের সময় ইন্টারনেটের স্পিড ঠিকমতো না পাওয়া বা বাফারিং নতুন কোনো ঘটনা নয়।
ফাইভ-জির মাধ্যমে ইন্টারনেটের গতি আরও বাড়বে, যা আপনার ইন্টারনেট ব্যবহারের অভিজ্ঞতা আরও ভালো করবে। ফাইভ-জির গতি ফোর-জির চেয়ে ১০ থেকে ২০ গুণ বেশি হতে পারে। তবে দেশভেদে গতিতে ভিন্নতা দেখা যায়। ফাইভ-জিতে ডাটা আদান-প্রদানের সময় অনেক কম লাগে। ফলে ইন্টারনেট ব্যবহারে পাওয়া যায় স্বাচ্ছন্দ্য।
কীভাবে আপনার ফোনে ফাইভ-জি চালু করবেন দেখে নিন-
এজন্য ফাইভ-জি সমর্থন করে এমন মুঠোফোন লাগবে। আধুনিক মডেলের মুঠোফোনগুলো সাধারণত ফাইভ-জি উপযোগী হয়। এজন্য সিম পরিবর্তন করতে হবে না। এমনকি বাড়তি কোনো টাকা দিতে হবে না। বিদ্যমান ফোর-জি ডাটা কিনেই গ্রাহকরা ফাইভ-জি ব্যবহার করতে পারবেন।
অর্থাৎ গ্রামীণফোন ও রবির ফাইভ-জি নেটওয়ার্কভুক্ত এলাকার কোনো গ্রাহকের এই প্রযুক্তি উপযোগী মুঠোফোন থাকলেই তিনি তা ব্যবহার করতে পারবেন। প্রয়োজনে মুঠোফোনের কানেকশন অপশন থেকে ফাইভ-জি চালু করে নিতে হবে।
>> এরপর ‘নেটওয়ার্ক মোড’ বা ‘নেটওয়ার্ক টাইপ’-এ যেতে হবে। সেখানে ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক সিলেক্ট করতে হবে।
>> ফাইভ-জি ডিভাইসে ফাইভ-জি (স্বয়ংক্রিয়) অপশনটি অন করার পরে, ডিভাইস ফাইভ-জি সিগন্যাল ধরার চেষ্টা করবে। নেটওয়ার্কটি উপলব্ধ হলে স্ক্রিনে ফাইভ-জি এসে যাবে।
Leave a Reply