প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার মন্ত্রিসভার পদত্যাগের একদফা দাবি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
শনিবার (৩ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া সংগঠনটির সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, ‘মানুষের জীবনের নিরাপত্তা ও সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা এক দফা দাবির সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি। এক দফাটি হলো, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ এই সরকারের পতন ও ফ্যাসিবাদের বিলোপ।’
তিনি আরও বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে আমরা খুব দ্রুতই ছাত্র-নাগরিক অভ্যুত্থানের জন্য সর্বস্তরের নাগরিক, ছাত্রসংগঠন ও সব পেশাজীবী মানুষের সঙ্গে মিলে সম্মিলিত মোর্চা ঘোষণা করব। সবার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জাতীয় রূপরেখা আমরা সবার সামনে হাজির করব৷’
এসময় রোববার থেকে সারা দেশে অসহযোগ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দেন তিনি।
এছাড়া ২৪ ঘণ্টার ভেতর বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হল খুলে দেয়ার আহ্বান জানানো হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে।
এর আগে শনিবার (৩ আগস্ট) বেলা ১১টার পর থেকেই আন্দোলনকারীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় আসতে থাকেন। দুপুর আড়াইটার পর বৃষ্টি শুরু হলেও ছাতা মাথায় দিয়ে অবস্থানে অটল থাকেন আন্দোলনকারীরা।
এক পর্যায়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের ঢলে জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। পুরো ঢাকা শহর থেকে দলে দলে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহীদ মিনারে যোগ দেন তারা।
Leave a Reply