জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন বর্জন করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। তাদের এ সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় ইসলামী ছাত্রশিবির বলেছে, ভোট বর্জন গণতান্ত্রিক চর্চার জন্য শুভ নয়।
শিবির প্যানেলের জিএস (সাধারণ সম্পাদক) প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বলেন—“একটি নির্বাচনে কেউ অংশ নেবেন কি নেবেন না, সেটা তাদের স্বাধীনতা। তবে আমরা মনে করি, শিক্ষার্থীরাই ভোট দিয়ে ঠিক করবেন এই নির্বাচন কতটা সুষ্ঠু হয়েছে। আমরা শিক্ষার্থীদের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।”
ছাত্রদলের ভোট বর্জনের যুক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি আরও বলেন—“তারা ওএমআর মেশিন নিয়ে অভিযোগ করেছে, বলেছে এটি নাকি জামায়াত-সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠানের। কিন্তু এটি ভিত্তিহীন। উল্টো সেই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিএনপির সংশ্লিষ্টতা রয়েছে, জামায়াতের নয়।”
ছাত্রদল প্যানেলের জিএস প্রার্থী তানজিলা হোসাইন বৈশাখী বলেন—“তাজউদ্দীন হলে আমাদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ভোটার তালিকায় ছবি নেই। ২১ নম্বর হলে আমাদের বিরুদ্ধে মব তৈরি করা হয়েছে। জাহানারা ইমাম হলে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ওপর হাত তোলা হয়েছে।”
তিনি অভিযোগ করেন,“এই নির্বাচন নিরপেক্ষতা হারিয়েছে। আমরা জামায়াত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ওএমআর মেশিন চাইনি। কিন্তু ভোট হচ্ছে সেই মেশিন দিয়েই। প্রশ্ন হলো—১০-২০ শতাংশ ব্যালট কি আগে থেকেই শিবিরকে দেওয়া হয়েছিল?”
বৈশাখী আরও বলেন—“মেয়েদের হলে একই ব্যক্তি একাধিকবার ভোট দিয়েছেন। শিবিরপন্থী সাংবাদিকরা আমাদের প্রার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন। সব মিলিয়ে এটি সুষ্ঠু নয়, বরং কারচুপি ও প্রহসনের নির্বাচন। আমরা বাধ্য হয়েই নির্বাচন বর্জন করেছি। এই নির্বাচনে শিক্ষার্থীদের রায় প্রতিফলিত হচ্ছে না।”
Leave a Reply