একদিকে ঘনিয়ে আসছে নির্বাচনের সময়, অন্যদিকে দাবি-দাওয়া নিয়ে রাজপথে সক্রিয় বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। এই প্রেক্ষাপটে পুরো মনোযোগ ভোটের মাঠে দিতে চায় বিএনপি। নির্বাচন সামনে রেখে দলটি ভিন্ন কৌশলে এগোচ্ছে। নিজেদের ঘরেই ভোট টানতে প্রার্থী বাছাইয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে হাই কমান্ড। এ ক্ষেত্রে রাখছে বিশেষ চমকও।
বিএনপির শীর্ষ নীতিনির্ধারকদের তথ্য অনুযায়ী, তফসিল ঘোষণার আগেই ৩০০ আসনের মধ্যে অন্তত ৭০ শতাংশ আসনে একক প্রার্থী চূড়ান্ত করে প্রাথমিক ঘোষণা দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। এ লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট নেতাদের ওপর সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই তারা সম্ভাব্য প্রার্থীদের জনপ্রিয়তা যাচাই শুরু করেছেন।
এছাড়া সোমবার রাতে জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, ভোটারদের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ বাড়াতে জনসম্পৃক্ত নানা কর্মকাণ্ডের আয়োজন করা হবে। নেতাকর্মীরা ‘ডোর টু ডোর’ প্রচারণায় অংশ নেবেন। এর মাধ্যমে সারাদেশে নির্বাচনী ঢেউ তুলতে চায় দলটি। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সারাদেশের নেতাকর্মীদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে।
দলীয় নীতিনির্ধারকদের মতে, তফসিলের পর প্রার্থী ঘোষণা করলে আসনভিত্তিক নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে। কারণ দীর্ঘ ১৫ বছর নির্বাচন থেকে দূরে থাকা এবং আওয়ামী লীগের নির্যাতন-নিপীড়নের কারণে মাঠ পর্যায়ে ভোটকেন্দ্রিক তৎপরতা কম ছিল। এ কারণে এবার প্রতিটি আসনে বিএনপির বহু প্রার্থী মনোনয়ন চাইবেন, যা স্বাভাবিক। তবে এতে শেষ মুহূর্তে দ্বন্দ্ব ও গ্রুপিং তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, যার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে ভোটের মাঠে। তাই তফসিলের আগেই একক প্রার্থী ঘোষণার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এবারের প্রার্থী মনোনয়নে বড় ধরনের চমক থাকতে পারে। কিছু আসনে এমন ব্যক্তিদের প্রার্থী করা হবে যাদের নিয়ে কেউ ভাবেননি। আবার অনেক সিনিয়র ও প্রভাবশালী নেতা শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন নাও পেতে পারেন। মূলত জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য প্রার্থীকেই বেছে নেওয়ার পক্ষে রয়েছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
Leave a Reply