রোমাঞ্চকর ম্যাচের ৪০ ওভার শেষেও ফল বেরোয়নি। শ্রীলঙ্কা-ভারতের ম্যাচ তখন সুপার ওভারে। প্রথম উইকেট খুইয়ে অলআউটের শঙ্কায় লঙ্কানরা। ঠিক তখনই ঘটল একটা ঘটনা।
আরশদীপ সিংয়ের বলে ব্যাট চালাতে গিয়ে ব্যাটে-বলে হয়নি দাসুন শানাকার। রান নিতে গিয়ে অর্ধেক পিচ কভার করেই ফেলেছেন, তখনই সাঞ্জু স্যামসনের থ্রোতে ভাঙল স্টাম্প। তবু ‘রিভিউ’ নিলেন শানাকা। তার ফলে তিনি বেঁচেও গেলেন! ক্রিজের অনেক বাইরে থাকতে স্টাম্প ভাঙলেও রান আউট হলেন না শানাকা! বিষয়টা গত রাতে বেশ বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে।
শানাকা যখন মাজ পিচে, তখন স্টাম্প ভাঙার আগেই বাংলাদেশি আম্পায়ার গাজী সোহেল তাকে আউট ঘোষণা করেন। তখনই রিভিউটা নেন শানাকা। থার্ড আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন আরেক বাংলাদেশি আম্পায়ার মাসুদুর রহমান মুকুল। তিনি তাকে নট আউট ঘোষণা করেন।
তার বেচে যাওয়ার কারণ হচ্ছে, তাকে গাজী সোহেল আউট দিয়েছিলেন কট বিহাইন্ডের আপিলের সুবাদে, আরশদীপের আপিলের কারণও ছিল সেটা, রান আউটের জন্য নয়। সেটা জানতে পেরেই শানাকা রিভিউ নেন। সেখানে দেখা যায় তার ব্যাটে বলই লাগেনি। যে কারণে কট বিহাইন্ড তো বটেই, রান আউটের জন্যও তাকে নট আউট ঘোষণা করা হয়। মাঠের আম্পায়ারের আউট দেওয়ার টাইমিংয়ের কারণেই বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়।
এমসিসির আইন বলছে, ‘যখন ডিসমিসাল হবে, তখনই বলটা ডেড হয়ে যাবে।’ গতকালকের ঘটনায় কট বিহাইন্ডের আপিল করেন আরশদীপ, তার মানে স্যামসন শানাকাকে রান আউট করার আগেই বলটা ডেড হয়ে গিয়েছে। রিপ্লেতে যখন দেখা গেল শানাকার ব্যাটে বল লাগেনি, তার ফলে নট আউট ঘোষণা করা হয় তাকে।
তবে বিষয়টা ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবের মনে ধরেনি। সঙ্গে সঙ্গে তিনি চলে যান আম্পায়ারের কাছে। তার কাছে জিজ্ঞেস করেন, কেন শানাকাকে আউট ঘোষণা করা হয়নি।
যদিও শানাকা সে ‘জীবন’ পাওয়াটাকে কাজে লাগাতে পারেননি। পরের বলেই আউট হয়েছেন ডিপ থার্ড ম্যানে ক্যাচ দিয়ে। সুপার ওভারে নির্ধারিত ২ উইকেটে লঙ্কানরা তোলে মোটে ২ রান। ভারতও ৩ রানের লক্ষ্যটা তাড়া করে ফেলে ১ বলেই।
Leave a Reply