যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) ক্যাম্পাস সংলগ্ন দোকানদারদের মাথায় হাত। ছাত্রলীগের নেতারা ক্যাম্পাস ত্যাগ করার পর তাদের বাকি টাকা আদায়ের আশঙ্কায় আছেন দোকানীরা।
যবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানা, সাধারণ সম্পাদক তানভীর ফয়সালসহ প্রায় কমিটির সকল নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন কর্মীর কাছে টাকা পাওয়ার কথা জানায় দোকানীরা।
দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রলীগের নেতারা বিভিন্ন খাবার ও চায়ের দোকানে বাকি রেখে যাচ্ছিলেন। সরকার পতনের পর ছাত্রলীগের নেতারা ক্যাম্পাস ছেড়ে যাওয়ায়, তারা দোকানীদের বাকি পরিশোধ করবে কি না তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন দোকানদাররা। এদিকে এতো পরিমাণ বাকি রাখা হয়েছে কিছু দোকানে যার ফলে তাদের দোকান চালানোই কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দোকান মালিক সিরাজুল ইসলাম জানান, ‘প্রতিদিন নানা অজুহাতে বাকি রেখে যাচ্ছিল ছাত্রলীগের নেতারা। বিশেষ করে তানভীর ফয়সাল ও সোহেল রানার কাছেই ৬০ হাজার এর মতো টাকা পাই৷ সব সময় দিবে দিবে বলে দিত না। ভয় পেতাম তাই কারো কাছে নালিশ করিনি৷ গরীবের টাকা মেরে খেয়ে কী তারা সুখী হবে? তারা টাকা দিলে দোকানটা আরো সচল হতো। এখন তারা চলে যাওয়ায় আমাদের পাওনা টাকা কীভাবে আদায় করবো, তা নিয়ে চিন্তিত।’
অন্য এক দোকানদার মান্নান মামা বলেন, ‘বছরের পর বছর ধরে ছাত্রলীগের নেতারা এখানে খেয়ে দেয়ে টাকা দেয়নি। মাঝেমধ্যে দিত আবার মাঝেমধ্যে বাকি রাখতো। দিন শেষে হিসাব করে দেখলাম বাকির পরিমাণ টাই বেশি। এত টাকা বাকি আছে, আমরা এখন কী করবো বুঝতে পারছি না।’
স্থানীয় দোকানদারদের এই অবস্থার কারণে ব্যবসার অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে পড়েছে এবং তারা তাদের পাওনা টাকা ফেরত পাওয়ার আশায় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।
Leave a Reply