বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণঅভ্যুত্থানের মুখে সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর আওয়ামী লীগের অবস্থা বেশ দোদুল্যমান। একদিকে দলীয় মন্ত্রী-এমপিসহ প্রভাবশালী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা, অন্যদিকে তাদের বাসা-বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাট। এ অবস্থায় নতুন পথে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। আপাতত কোনো কর্মসূচি না দিয়ে আরেকটু সময় নিশ্চুপ থাকতে চায় সাড়ে ১৫ বছর রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকা দলটি।
সম্প্রতি আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের একাধিক শীর্ষ নেতা এ বিষয়ে কথা বলেছেন।
সূত্র জানায়, কোটা সংস্কার ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় হতাহতের ঘটনায় দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের এমপি ও নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে। হামলা হচ্ছে বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। বর্তমান পরিস্থিতিতে দলের নেতাকর্মীরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, আমরা এখন কোনো কর্মসূচিতে যেতে চাই না। আগে আমাদের সংগঠিত হতে হবে। দলের নেতাকর্মীরা এখন সক্রিয় হলে মামলা-হামলার শিকার ছাড়া ভালো কিছু হবে না।
মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, কেন্দ্রীয় নেতারা আমাদের আপাতত নীরব থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন। সময় নিয়ে কর্মসূচি দেওয়া হবে।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন, আমরা একটু সময় নিচ্ছি। কীভাবে এগোনো যায়, তা নিয়ে ভাবছি। আমাদের পরবর্তী কর্মপদ্ধতি বা পদক্ষেপ কী হতে পারে, সেগুলো নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা হচ্ছে। এখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি এবং প্রতিহিংসার রাজনীতি চলছে। এ কারণে আমরা নেতাকর্মীদের আর কোনো ক্ষয়ক্ষতি চাচ্ছি না।
তিনি আরো বলেন, দলের হাইকমান্ডের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমাদের সব নেতাকর্মীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখার জন্য, সাহস দেওয়ার জন্য, মনোবল ধরে রাখার জন্য বলা হয়েছে। এখন আমরা সেটার ওপরই গুরুত্ব দিচ্ছি।
Leave a Reply