খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস ছিলেন দোর্দন্ড প্রতাপশালী। দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিপদে পড়ে গত ৫ আগস্ট আত্মগোপন করেন তিনি। এরপর থেকেই মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে। তিনি দেশ ছেড়েছেন নাকি দেশেই আছেন তা জানে না তার ঘনিষ্ঠজন ছাড়া কেউই। দৃশ্যপট পরিবর্তনের পর তার বাড়িতে হামলার চেষ্টা হলেও স্থানীয়রা তা ঠেকিয়েছে।
এ অবস্থায় বুধবার (২১ আগস্ট) অজ্ঞাত স্থান থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে তিনি সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এতে তিনি বলেন, ‘আমি সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস, পিতা মরহুম আব্দুর রহমান টুকু বিশ্বাস। আমাদের পরিবার ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী। আমাদের পরিবারের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের বাইরে আমি আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছি। সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেছি। আমার জানা মতে এই সময় আমি কোনো রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করিনি। তারপরেও আমরা মানুষ হিসেবে কেউ ভুলত্রুটির ঊর্ধ্বে নই। আমার আচরণে কেউ যদি বিন্দুমাত্র কষ্ট পেয়ে থাকেন আশা করি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।’
‘আমি দেশের গণতন্ত্র প্রিয় মানুষ ও আন্দোলনরত মেধাবী শিক্ষার্থীদের সম্মান প্রদর্শন করে সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করছি। এছাড়া দলের সঙ্গে সকল প্রকার রাজনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করছি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সকলের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি। আমি খুলনার একজন সাধারণ মানুষ হিসেবেই থাকতে চাই। তবে বিগত দিনের মতো আপনাদের বিপদ আপদে সুখে-দুঃখে পাশে থাকবো ইনশাআল্লাহ।’
এ ব্যাপারে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করা হলে বুলু বিশ্বাস জানান, আমি জীবনে আর কোনোদিন রাজনীতি করবো না। রাজনীতিকে চিরদিনের জন্য অবসর নিলাম।
Leave a Reply