সিলেট সীমান্ত থেকে আটক অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের চিকিৎসার জন্য আট সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। গতকাল রবিবার (২৫ আগস্ট) এ মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শনিবার (২৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরে রাতেই একটি অস্ত্রোপচার সফলভাবে সম্পন্ন করেন চিকিৎসকরা। অস্ত্রোপচারে ১৩টি সেলাই লেগেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সাবেক বিচারপতি মানিকের চিকিৎসার জন্য ওসমানী মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ও মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক শিশির চক্রবর্ত্তীকে সভাপতি করে আট সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তারা শামসুদ্দিনের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন।
মেডিক্যাল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) একটি কেবিনে রাখা হয়েছে।
সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, সাবেক বিচারপতির শারীরিক অবস্থা এখন কিছুটা উন্নতির দিকে। তার চিকিৎসায় আটটি বিভাগের প্রধানদের নিয়ে একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
একবার বাইপাস করেছেন। ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপও রয়েছে তার। মারধরের কারণে একটি অণ্ডকোষ ফেটে গিয়েছিল। এখানে ১২-১৩টি সেলাই লেগেছে। এটা তেমন বড় সমস্যা না।
এখন তিনি শঙ্কামুক্ত। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে মেডিক্যাল বোর্ডের পরামর্শে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে।
এর আগে শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাতে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ভারতে পালানোর সময় সাবেক বিচারপতি মানিককে আটক করে বিজিবি। পরের দিন সকালে তাকে কানাইঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়। তখন ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় কানাইঘাট থানা পুলিশ। এরপর সিলেটের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ আলমগীর হোসেনের আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
Leave a Reply