রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের ‘কালো আইন’ বাতিল করা না হলে প্রধান উপদেষ্টার অস্থায়ী কার্যালয় ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (বিএলডিপি) চেয়ারম্যান এম নাজিম উদ্দীন আল আজাদ।
রোববার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে বিএলডিপি আয়োজিত ’আলোচনা ও দোয়া মাহফিল’ অনুষ্ঠানে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
সেই সঙ্গে আইনটি শিথিল ও নতুন দলগুলোকে নিবন্ধন দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
হুঁশিয়ারি দিয়ে এম নাজিম উদ্দীন আল আজাদ বলেন, ’কালো আইন বাতিল করার জন্য অনিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলো প্রধান উপদেষ্টার বাড়ি ঘেরাও করবে। আমরা অচিরেই কর্মসূচি দেব’।
তিনি বলেন, দেশে অনিবন্ধিত অনেক রাজনৈতিক দল রয়েছে। নিবন্ধন আইনের নামে ‘কালো আইন’ করে রাখা হয়েছে। তৈলাক্ত বাঁশের মতো কখনোই চূড়ায় ওঠা যাবে না। এমনি ভাবে বারবার জনগণকে ধোকা দিচ্ছে। বিপ্লবী সরকারের কাছে প্রথম দাবি থাকবে, যেন নির্বাচন কমিশন এ কালো আইন পরিবর্তন করে। জনগণের কাছে জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে কোন ব্যরিকেট থাকতে পারবে না। আমরা চাই এই আইন শিথিল করা হোক।
বিএলডিপির চেয়ারম্যান বলেন, জনকল্যাণের নামে সংবিধানকে কাটাছেঁড়া করা হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর অনেকবার সংবিধান সংশোধন হয়েছে। যারা ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে চায়, তারাই বারবার সংবিধান কাটাছেঁড়া করেছে। জনগণের কল্যাণের নামে তারা ধোকা দিয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মেজর জেনারেল আ ম সা আ আমিন (অব.) বলেন, ১৯৭১ সালে সশস্ত্র সংগ্রামে ৩০ লাখ শহিদ ও প্রায় দুই লাখ মা-বোনের ত্যাগ এবং মুষ্টিমেয় দেশবিরোধী শক্তি ছাড়া মুক্তিযোদ্ধা-জনতার সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত হলেও পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা আসেনি। তাই প্রয়োজন ছিল আর একটি স্বাধীনতা সংগ্রামের। অকুতোভয় ছাত্র- জনতার সম্মিলিত সংগ্রামে সেই ঐতিহাসিক বিজয় এসেছে। এখন প্রয়োজন ছাত্র-জনতার অভূতপূর্ব ঐতিহাসিক বিজয়কে সু-সংহত করা।
Leave a Reply