ভারত ফারাক্কার সব দরজা খুলে দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদসহ বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়া, রাজবাড়ী ও মানিকগঞ্জসহ আশপাশের জেলাগুলো সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।
শুধু তাই নয় জানা গেছে যে, ফারাক্কা বাঁধ এলাকায় সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৭৭ দশমিক ৩৪ মিটার পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ফারাক্কা বাঁধে বাড়তি জলের চাপ তৈরি হয়েছে। অতিরিক্ত পানির ধারণক্ষমতার কারণে কর্মকর্তাদের পানি ছাড়তে হচ্ছে।
সোমবার ফারাক্কা ব্যারেজের ১০৯টি গেট খুলে দিয়েছে ভারত। বাংলাদেশে একদিনে ১১ লাখ কিউসেক পানি প্রবেশ করবে।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার গঙ্গা নদীর উপর ফারাক্কা বাঁধের অবস্থান। বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার দূরে এই বাঁধের নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৯৬২ সালে। প্রায় এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই বাঁধটি ১৯৭০ সালে সম্পন্ন হয়েছিল। ফারাক্কা বাঁধের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে ২১ এপ্রিল ১৯৭৫ সালে শুরু হয়।
Leave a Reply