একের পর এক জয় শুরু হয়েছে সব ক্ষেত্রে। বাংলাদেশ আজ নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। নতুন বাংলাদেশের নতুন জয়। সাফ অনূর্ধ্ব-২০ টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। শুধু দলীয় চ্যাম্পিয়ন ট্রফি নয় ব্যক্তিগত অর্জনেও এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশের ফুটবলাররা। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা, সেরা খেলোয়াড় ও সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার দেওয়া হয় বাংলাদেশের ফুটবলারদের।
টুর্নামেন্টে মাত্র দুই ম্যাচ খেলে সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার জিতেছেন আসিফ। মাত্র দুটি ম্যাচ খেলার পর টুর্নামেন্ট জয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত তিনি, ‘আমার বাবা-মা, আত্মীয়স্বজন সবাই দোয়া করছেন’। সবার দোয়ায় মাত্র দুই ম্যাচ খেলে সেরা হয়েছি।
আসিফ নিয়মিতভাবে বয়সভিত্তিক পর্যায়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। গত মৌসুমে এই টুর্নামেন্টে ফাইনাল খেলেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শিরোপা হারান তিনি। সে কারণেই এবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আসিফ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি ১৭-২০ বছর বয়সের উপর নির্ভর করে সব টুর্নামেন্ট খেলেছি। ২০২২ সালের ফাইনালে হারার পর আমি কেঁদেছিলাম। এবার দেশ ছাড়ার লক্ষ্য ছিল চ্যাম্পিয়ন হওয়া।
নেপালকে পরাজিত করা বাংলাদেশের নিয়মিত অধিনায়ক গোলরক্ষক মেহেদি হাসান শ্রাবণের ইনজুরির কারণে সেমিফাইনালের ৬৫ মিনিটে মাঠে নামেন আসিফ। বদলি খেলোয়াড় হিসেবে ভালো পারফর্ম করেছেন। বাংলাদেশকে ফাইনালে পাঠাতে টাইব্রেকারে ভারতের দুটি শট ঠেকিয়ে দেন তিনি। ফাইনালেও দারুণ পারফর্ম করেন।
বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অন্যতম কারিগর ফরোয়ার্ড মিরাজুল ইসলাম। চার গোল করে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা ও সেরা খেলোয়াড় দুই পুরস্কারই জিতেছেন। তিনি সকল কিছুর জন্য সৃষ্টিকর্তাকেই ধন্যবাদ দিয়েছেন, ‘চ্যাম্পিয়ন হয়েছি আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহর সহায়তা ছাড়া এটা কখনও সম্ভব নয়। আমরা ভারতের সঙ্গে কিন্তু সেরকম ভালো খেলিনি। আল্লাহর সহায়তা ছিল, জিতেছি।’
দেশের অন্যতম সেরা কোচ মারুফুল হক এই টুর্নামেন্টের হেড কোচের দায়িত্বে ছিলেন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ছাত্র-জনতাকে শিরোপা উৎসর্গ করেছেন তিনি। টুর্নামেন্টের ফাইনাল নিয়ে তার বিশ্লেষণ, ‘প্রথমে আমার পরিকল্পনা ছিল একটু স্লো খেলা। নেপাল স্বাগতিক দল, তারা অ্যাটাকে আসবে। প্রথম দশ মিনিট দেখলাম, তারপর চাপ নিয়েছি। তখন কৌশল পরিবর্তন করে আক্রমণ করতে বলি।’
ফুটবলারদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অনুশীলনের শুরু থেকে পাসিং ফুটবলের পরিকল্পনা ছিল। আজ সেই পাসিং ফুটবলই খেলা হয়েছে। এখানে টেকনিক্যালি সাউন্ড ফুটবলার রয়েছে। তারা ঠান্ডা মাথায় সেই পাসিং ফুটবল খেলায় সফল হয়েছে। ধন্যবাদ তাদেরই প্রাপ্য।’
এদিকে এ জয়ে বাংলাদেশ অ-২০ ফুটবল দলকে অভিনন্দন জানান। তিনি তার ভেরিফাইড ফেইসবুকে বলে যে, টিমের সাথে যারা একক ভাবে কাজ করেছেন যাদের প্রচেষ্টায় এ অর্জন সবাইকে অভিনন্দন।
Leave a Reply