দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় জাসদ ছাত্রলীগের হাত ধরে রাজনীতিতে প্রবেশ। এরপর সময়ের পরিক্রমায় হয়ে উঠেন দেশের অন্যতম প্রভাবশালী রাজনীতিক। বলছি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের কথা।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর নতুন করে আলোচনায় আসেন ৬৫ বছর বয়সী এই রাজনীতিক। অন্তর্বর্তী সরকার গঠন থেকে শুরু করে মন্দির-সংখ্যালগুদের বাড়ি পাহারা, সব কাজে সামনের সারিতে দেখা যায় জামায়াতকে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শহিদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে অর্থ সহযোগিতা এবং সবশেষ বানবাসী মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে জামায়াত আমিরের বক্তব্য মন জয় করেছে দেশবাসীর।
ডা. শফিকুর রহমানের ১৯৫৮ সালের ৩১ অক্টোবর মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম। তার বাবা মোহাম্মদ আবরু মিয়া ও মা খতিবুন্নেছা। তাদের পাঁচ সন্তানের মধ্যে তৃতীয় তিনি। তারা তিন ভাই ও এক বোন।
জানা যায়, ১৯৭৩ সালে স্থানীয় বরমচাল উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে পড়ার সময়ই রাজনীতিতে হাতেখড়ি হয় শফিকুর রহমানের। ঐ বছরই তিনি যোগ দেন জাসদ ছাত্রলীগে। ১৯৭৪ সালে এসএসসি এবং ১৯৭৬ সালে সিলেট এমসি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন শফিকুর রহমান। সিলেট মেডিকেল কলেজে ভর্তির পর তিনি পরিচিত হন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সঙ্গে। ১৯৭৭ সালেই যোগ দেন সংগঠনটিতে। পরবর্তীতে সিলেট মেডিকেল কলেজ এবং সিলেট শহর শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
১৯৮৩ সালে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জনের পর চিকিৎসা সেবায় আত্মনিয়োগ করেন ডাক্তার শফিকুর রহমান। পাশাপাশি জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন।
১৯৮৪ সালে জামায়াতে ইসলামীতে যোগদানের মাধ্যমে বৃহত্তর রাজনীতিতে পদার্পণ করেন ডা. শফিকুর রহমান। দায়িত্ব পালনের সময় সিলেট শহর এবং জেলা ও মহানগরীর আমীর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এরপর ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত জামায়াত ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল নিযুক্ত ছিলেন ডাক্তার শফিকুর রহমান। ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দলের রুকন সম্মেলনে প্রত্যক্ষ ভোটে আমীর নির্বাচিত হন তিনি। একই বছর ৫ ডিসেম্বর পরবর্তী দুই বছর মেয়াদে আমীরে জামায়াত হিসেবে ডাক্তার শফিকুর রহমান শপথ নেন। ২০২২ সালের ৩১ অক্টোবর দ্বিতীয় মেয়াদেও আমীর নির্বাচিত হন তিনি।
Leave a Reply