যে অপরাধ করেননি, সেই অপরাধের অভিযোগেই ফের মারধরের শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ার বরাতে আলোচনায় উঠে আসা কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম। রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টার দিকে বগুড়া জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করতে গেলে একদল যু্বক হামলা করেন তাকে।
এ ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়সহ বিভিন্ন মাধ্যমে। ভিডিওতে দেখা যায়, হিরো আলমকে একদল যুবক বেধড়ক মারধর করছেন। এমনকি একপর্যায়ে তাকে কান ধরিয়ে উঠবোসও করানো হয়।
বর্তমানে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হিরো আলম। সেখান থেকেই তিনি বলেন, আমাকে এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়েছে। শরীরজুড়ে ব্যাথা। ওরা আমাকে পিটিয়ে মেরে ফেলতে চেয়েছিল।
এ সময় কোন অপরাধে মারধর করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কোনো অপরাধ করিনি। আমি তো আদালতে মামলা করতে গিয়েছিলাম।
এদিকে জানা গেছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে একদল যুবক মারধর করেছেন হিরো আলমকে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হিরো আলম বলেন, আজ আমাকে একদল যুবক মারধর করেছে। তারা বলতেছে, আমি নাকি তারেক জিয়ার নামে কী বলছি। কেউ যদি আমাকে এ ধরনের ভিডিও দেখাতে পারেন যে, তারেক জিয়াকে আমি হিরো আলম বকা দিয়েছি, গালি দিয়েছি… তাহলে জুতার মালা গলায় পরে বগুড়া শহর ঘুরব।
মারধরের শিকার হওয়ার পর হিরো আলম বলেন, এক স্বৈরাচারের পতনের পর আরেক দল নিজেদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ শুরু করেছে। এইটা কি স্বাধীনতা? প্রকাশ্যে আমাকে হত্যার চেষ্টা করা হলো। আমি কখনও তারেক জিয়াকে নিয়ে কটূক্তি করিনি। ডিবির হারুন আমার পরিবারকে জিম্মি করে রিজভী সাহেবের বিরুদ্ধে মামলা করিয়েছিল। এই কথা আগেও বলেছি। এরপরও আমাকে আদালতের মতো জায়গায় আপনাদের সামনে পেটানো হলো।
জানা গেছে, এদিন দুপুরে হিরো আলম ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে প্রচারণার সময় মারধর ও ২০২৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি একই আসনে উপ-নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ওবায়দুল কাদের, বগুড়া-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রেজাউল করিম তানসেন ও সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ ৩৯ জনকে আসামি করা হয়।
এদিকে বগুড়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনা জানান, হিরো আলমের ওপর যারা হামলা করেছে তারা দুর্বৃত্ত। আমাদের দলের কোন নেতাকর্মী এ কাজ করেনি।
Leave a Reply