কোনোকিছুর বিনিময়ে কিছু প্রাপ্তির আশায় মহান সৃষ্টিকর্তাকে রাজি-খুশি করতে আমাদের অনেকেই প্রায়সময়ে মানত করে থাকি। এ ক্ষেত্রে মানত করায় নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও অবশ্যই আল্লাহর নামে মানত করতে হবে এবং আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও নামে বা কোনোকিছুতে মানত করা যাবে না। মানত বিশুদ্ধ হওয়ার অন্যতম শর্ত এটি।
শায়খ আহমাদুল্লাহসহ অধিকাংশ ইসলামিক আলোচকদের মতে, আল্লাহকে রাজি-খুশি করতে মানত করায় নিষেধ না থাকলেও রাসুল (সা.) এর কাছে মানত করা পছন্দনীয় কোনো কাজ ছিল না। কোনো কোনো হাদিস অনুযায়ী, রাসুল (সা.) মানত করতেও নিষেধ করেছেন।
সাঈদ ইবনু হারিস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি ইবনু ওমর (রা.) কে বলতে শুনেছেন, তোমাদেরকে কি মানত করতে নিষেধ করা হয়নি? রাসুল (সা.) তো বলেছেন, মানত কোনোকিছুকে বিন্দুমাত্র এগিয়ে আনতে পারে না এবং পিছিয়েও দিতে পারে না। তবে হ্যাঁ, মানতের দ্বারা কৃপণের কাছ থেকে (কিছু মাল) বের করা হয়। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬২৩৫-৬২৩৬)
আবার মানতের ওপর কসম কাটা নিয়েও কঠোর নিষেধ রয়েছে। হাদিসে এসেছে, বুরায়দা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি আমানতের ওপর কসম খাবে, সে আমাদের দলভুক্ত নয়। (আবূ দাউদ, হাদিস: ৩২৩৮)
অন্যদিকে, গুনাহের কোনোকিছুতে মানত করায়ও নিষেধ রয়েছে। রাসুল (সা.) সূত্রে আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি এরূপ মানত করে যে, সে আল্লাহর আনুগত্য করবে, তাহলে সে যেন তাঁর আনুগত্য করে। আর যে এরূপ মানত করে, সে আল্লাহর নাফরমানি করবে, তাহলে সে যেন তার নাফরমানি না করে। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬২৩৯)
Leave a Reply