রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার যে ছয়টি কমিশন গঠন করেছে, তিন মাসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দেয়ার কথা রয়েছে। এরপর তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে যাবে সরকার। সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক মতৈক্য গড়ে সংস্কার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অঙ্গীকার, সুনির্দিষ্ট কোনো কোনো ক্ষেত্রে সংশোধনী এনে তারপর নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। সংস্কার না করার ফল কী হয়েছে তা এতোদিন রাজনৈতিক দলগুলোর উপলব্ধি হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক মতৈক্য গড়ে সংস্কার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অঙ্গীকার সুনির্দিষ্ট কোন কোন ক্ষেত্রে সংশোধনী এনে তারপরেই আমরা নির্বাচনের কথা ভাবছি। রাজনৈতিক দলগুলোও ইতোমধ্যে স্পষ্ট করেছে আগে সংস্কার তারপরে তারা নির্বাচনে যেতে চান।
ব্রিফিংএ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, এরশাদ সরকারের সঙ্গে এই সরকারের বড় পার্থক্য রয়েছে। এই সরকার একটি গণ-অভ্যুত্থানের আউটকাম। এই গণ-অভ্যুত্থানে দুটি শব্দ ছিল। একটি হলো বৈষম্যবিরোধী, আরেকটি হচ্ছে সংস্কার। এর উদ্দেশ্যই হচ্ছে একটি প্রকৃত গণতন্ত্রের দিকে দেশটিকে নিয়ে যাওয়া। যেহেতু এরশাদ সরকারে সঙ্গে এই সরকারের ফাউন্ডেশনেই পার্থক্য আছে, তাই সেই সরকারের কর্মপদ্ধতি, কর্মপরিকল্পনা ও উদ্দেশ্যকে কোনোভাবেই মিলিয়ে ফেলবো না।
তিনি আরও বলেন, এই যে কমিশনগুলো হলো, প্রাথমিকভাবে আমরা আশা করছি, তিন মাসের মধ্যে তারা প্রতিবেদন দিতে পারবে। এগুলো আদৌ বাস্তবায়িত হবে কি না, সেটা নির্ভর করবে এর স্বপক্ষে রাজনৈতিক ঐক্য আমরা গড়ে তুলতে পারি কি না। এ জন্য সংস্কার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোরও মতামত চাচ্ছি।
শেখ হাসিনাকে বিচারাধীন প্রক্রিয়ায় থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে আমাদের অবস্থানটা স্পষ্ট। ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার মুখপাত্র হিসেবে বিচারের প্রক্রিয়াতে তাকে থাকতে হবে। কারণ দায়দায়িত্ব এখানে একটা ব্যাপার আছে।
সূত্র: বিবিসি
Leave a Reply