বাংলাদেশে আদানি গ্রুপের বিদ্যুতের বিল পাওনা সংক্রান্ত যে সমস্যা আছে, তা দুই পক্ষ বসে সমাধান করা উচিত। বৃহস্পতিবার এমন পরামর্শ দিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে উঠে আসে বাংলাদেশে আদানি গ্রুপে বকেয়া ইস্যু। মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, এটি বেসরকারী প্রকল্প। ভারতীয় সরকারের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ এবং আদানি গ্রুপ বসে সমস্যা মিটমাট করুক। আর ভবিষ্যতে এই চুক্তির কোন পথে যাবে এটাও দুই পক্ষের আলোচনার বিষয়।
রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘আপনি যেটি উল্লেখ করছেন, তা একটি বেসরকারি প্রকল্প। এটি দুটি পক্ষের মধ্যে ক্রেতা-বিক্রেতা চুক্তি দ্বারা সীমাবদ্ধ। এখানে একটি পক্ষ ভারতীয়, অপর পক্ষ বাংলাদেশি। এই চুক্তি বা ব্যবস্থা কীভাবে চলবে তা নির্ধারণ করবে এ দুই পক্ষ।’
‘যদি কোনো সমস্যা থেকে থাকে, তবে তা তাদেরই (বাংলাদেশ ও আদানি গ্রুপ) বসে সমাধান করতে হবে।’
গত ৯ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানায়, বিদ্যুৎ বিক্রি বাবদ পাওনা অর্থ চেয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে চিঠি লিখেন ভারতের আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি।
ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রের খবর, দ্রুত ৮০ কোটি ডলারের বকেয়া পরিশোধের জন্য চিঠিতে সরকারপ্রধানের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন ভারতের এই ব্যবসায়ী।
এ দিকে জানা গেছে, আদানি গ্রুপের সঙ্গে করা বিদ্যুৎ চুক্তিটি যাচাই-বাছাই করছে অন্তর্বর্তী সরকার। চুক্তির শর্তাবলি এবং বিদ্যুতের জন্য যে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে তা ন্যায্য কি না খতিয়ে দেখতে চায় বর্তমান সরকার। ২০১৭ সালে তৎকালীন শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার আদানি গ্রুপের সঙ্গে তাদের ঝাড়খণ্ড ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তিটি করে।
Leave a Reply