বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানের সঙ্গে নায়িকা মৌসুমীর একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার সুবাদে একসঙ্গে ছবি রয়েছে। সেই ছবিটিই পরবর্তীতে মৌসুমীর জন্যে অনেকটা কাল হয়ে দাঁড়ায়। এমনটাই জানালেন চিত্রনায়ক ও মৌসুমীর স্বামী ওমর সানী।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসন আমলে ওই ছবির কারণে মৌসুমীকে একাধিকবার রোষানলে পড়তে হয়েছে বলেও জানান সানী।
হাসিনা সরকারের পতনের পর এই ঘটনাটি নিয়ে এবার মুখ খুলছেন তিনি।
মঙ্গলবার দুপুরে এফডিসির প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতিতে নতুন সেন্সর বোর্ড গঠন হলে সেটির সংস্কারের দাবি জানিয়ে এক সংবাদ সম্মেলন কররা হয়। সেখানে সেই ছবি প্রসঙ্গে ওমর সানী বলেন, ওই ছবিতে এক পাশে ববিতা আপা ছিলেন, এক পাশে মান্না ভাইও ছিলেন। সেখানে তারেক সাহেব ও তার স্ত্রী কবুতর উড়িয়ে দিচ্ছিলেন।
মৌসুমীও সেখানে ছিলেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বেনজির তখন র্যাবের প্রধান ছিলেন। নারায়ণগঞ্জে দেখা হলে একদিন তিনি বলেছিলেন, তাদের কাছে নির্দেশ আছে, ছবিটি নাকি বিতর্কিত। আমরা বাজে অবস্থার মধ্যে পড়ে যাবো।
তখন আমি সত্যি আমার পরিবার নিয়ে ভীত হয়ে পড়ি। তারপর থেকে আমার পরিবার ও ব্যবসায় উপর অস্বাভাবিকভাবে তারা ক্ষতি করতে মেতে ছিলেন। শুধু আমি একা নই, আমার কাছের মানুষগুলোও জানে কতটা ব্যথিত হয়েছিলাম।’
রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে শিল্পীদের ছবি থাকা প্রসঙ্গে ওমর সানি বলেন, ‘পরিস্কার করে বলতে চাই, রাষ্ট্র যেখানে অবস্থান করিবে, প্রজারা সেখানে অবস্থান করিতে বাধ্য থাকিবে। শিল্পীদের সঙ্গে যে কারো ছবি থাকতে পারে।
একজন চোরের সঙ্গে বা ব্রোথেল গার্ডের সঙ্গেও ছবি থাকতে পারে। তবে হ্যাঁ এটা সত্য মৌসুমী নমিনেশন (সংরক্ষিত মহিলা আসন, ২০১৮ সালের নির্বাচন) চেয়েছিল। কেন চেয়েছিল সেটা জাহির করতে আসিনি। এটা উপর ওয়ালা ভালো জানেন। মৌসুমী রাজনীতিতে জড়াবে না বলে একটা সময় আমেরিকা চলে যায়।’
এফডিসির শিল্পী সমিতি গুটিকয়েক নেতাদের কুলাঙ্গার উল্লেখ করে ওমর সানী বলেন, সেই কুলাঙ্গারদের কারণে প্রথমবার নির্বাচন করতে এসে দেখি তারা শাকিবের সঙ্গে কী করেছিল। শাকিব কেইস করেছিল। এই কুলাঙ্গারদের কারণে শাকিব সেই মামলা আগাতে পারে নাই। যারা এসবে প্রভাব খাটিয়েছিল অনেকে কারাবন্দী। মৌসুমী যখন সমিতির নির্বাচন করে তারা অনেকে এখন আছে যারা তার পিছনে ক্ষতি করেছিল।
জীবদ্দশায় অনেক যোগ্য শিল্পীদের একুশে পদক দেয়া হচ্ছে না উল্লেখ করে ওমর সানী বলেন, শবনম ম্যাডাম, শাবানা ম্যাডাম, ববিতা ম্যাডামদের মতো লিজেন্ড যারা আছেন তাদের যথাযথ মূল্যায়ন হচ্ছে না। তারা এক জীবনে পুরোটা এই অঙ্গনে দিয়ে গেছেন। রাষ্ট্রের উচিত তাদের একুশে পদক পুরষ্কার দিয়ে সম্মান জানানো।
Leave a Reply