সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ এবং অবসরের বয়সসীমা ৬৫ বছর করতে প্রস্তাব দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) যুগ্মসচিব মো. সাজজাদুল হাসান স্বাক্ষরিত মন্ত্রিপরিষ বিভাগের সাধারণ অধিশাখা থেকে পাঠানো এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ‘উপর্যুক্ত বিষয়ে সরকারি চাকরিতে প্রবেশে ৩৫ বছর এবং অবসরের বয়সসীমা ৬৫ বছরে উন্নীতকরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশন হতে প্রাপ্ত পত্র এইসঙ্গে প্রেরণ করা হলো।’
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ‘বর্ণিত বিষয়ের সঙ্গে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মপরিধি সম্পৃক্ততা থাকায় সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’
প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করতে দীর্ঘদিন দাবি জানিয়ে আসছে চাকরি প্রার্থীরা। গত সরকারের আমলে এ নিয়ে সংসদে আলোচনাও হয়েছে। তবে এটি বাস্তবায়ন করার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
তখন সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা না বাড়ানোর কারণ ব্যাখ্যা করে বলা হয়েছে, চাকরি থেকে অবসরের বয়সসীমা ৫৭ বছর থেকে বাড়িয়ে ৫৯ করায় বর্তমানে শূন্য পদের সংখ্যা কমে গেছে। তাই চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা হলে শূন্য পদের বিপরীতে চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাবে। ফলে নিয়োগের ক্ষেত্রে আরও বেশি প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হতে পারে। বয়সসীমা বাড়ানো হলে ৩০ বছরের বেশি বয়সীরা সরকারি চাকরিতে আবেদনের সুযোগ পাবেন সত্যি, কিন্তু তা একই সঙ্গে ৩০ বছরের কম বয়সী চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি করতে পারে।
Leave a Reply