তাণ্ডব চালিয়ে লঘুচাপে পরিণত হলেও এখনও বাংলাদেশ থেকে বিদায় নেয়নি ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’। ফলে এখনও বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকায় দেশের তিন সমুদ্রবন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ মে) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় রেমাল লঘুচাপে পরিণত হয়ে সিলেট ও তৎসংলগ্ন আসাম এলাকায় অবস্থান করছে। তবে লঘুচাপটির প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। ফলে সমুদ্রবন্দর, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া অব্যাহত থাকতে পারে।
এ জন্য চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
রোববার (২৬ মে) রাত আটটার দিকে ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র মোংলার দক্ষিণ-পশ্চিম দিক দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ উপকূল ও বাংলাদেশের খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম শুরু করে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলাসহ উপকূলের বিভিন্ন জেলায় ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যায়। বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১২০ কিলোমিটার। সোমবার (২৭ মে) দুর্বল হতে থাকে এটি। ফলে সোমবার ভোর থেকে সারা দেশেই বৃষ্টি ঝরেছে। মঙ্গলবার সকালেও এর প্রভাব লক্ষ করা গেছে।
Leave a Reply