নায়িকা মাহিয়া মাহি। ঢাকাই সিনেমার অন্যতম ফ্লপ নায়িকা। যার অভিনয় ক্যারিয়ারে তেমন উল্লেখযোগ্য কোন ভালো সিনেমা না থাকলেও মাহি সবসময় আলোচনায় থাকেন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে।
অভিনয় জীবনে ফ্লপের পরে রাজনীতিতে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। সেখানে তো আরও মহা ব্যার্থ। চেয়েছিলেন আওয়ামীলীগের হয়ে সংসদ সদস্য হতে তবে সেই ভাগ্য কিংবা দুর্ভাগ্য কোনটাই হয়নি। নৌকার ছ্যাকা খেয়ে দাড়িয়েছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। তবে ট্রাকে চড়েও গতি হয়নি এই অভিনেত্রীর।
এই ফ্লপ অভিনেত্রী কোন কূল না পেয়ে শাকিব খানের মা এর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। তারপর থেকেই তার ফেরার চেষ্টা।
এবার সব হারিয়ে নেচে নেচে ফটোশুট করে ভাইরাল হলেন এই নায়িকা। পরনে কালো-খয়েরি রঙের শাড়ি। মাথার চুলগুলো আলগা করে ছেড়ে দেওয়া। চোখে কাজল, মুখে হাসি। ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজছে হিন্দি গান।
এ গানের সঙ্গে কোমর দুলিয়ে নেচে চলেছেন তিনি। সম্প্রতি নিজের ফেসবুকে ১ মিনিট ২৯ সেকেন্ড দৈর্ঘ্যের ভিডিওটি পোস্ট করেছেন মাহি নিজেই। যা নেটদুনিয়ায় আবারও ভাইরাল।
মাহি ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখেছেন— ‘এভাবেই নেচে নেচে ফটোশুট করি আমি।’
ভিডিওতে মাহির লুক, অভিব্যক্তি ও নাচ দেখে মুগ্ধতা প্রকাশ করছেন তার ভক্ত-অনুরাগীরা। মিলাদ ভূঁইয়া নামের একজন লেখেন, ‘ইদানীং নাচে মনোযোগী দেখা যাচ্ছে।’ এ মন্তব্যের জবাবে মাহি লেখেন, ‘এটা ফটোশুট।’ সাফা নুজহাত আগুনের ইমোজি দিয়ে লেখেন, ‘উফ!’ সিফাত নুসরাত লেখেন, ‘ওয়াও!’
এর আগে সাদা শার্ট ও কালো প্যান্টে একের পর এক পোজে ভিডিও ধারণ করেছেন অভিনেত্রী। সেই ভিডিওটি ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়েছে ফেসবুকে। মাহির ভক্তরাও নায়িকার রূপ নিয়ে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন। তাকে এমন অগ্নিকন্যা রূপেই পর্দায় আবারও ফিরে দেখতে চেয়েছেন।
পর্দায় ফেরা প্রসঙ্গে সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমকে মাহিয়া মাহি বলেন, আমি ব্যস্ত অভিনেত্রী হতে চাই না। খুব বেশি কাজ আমার দরকার নেই। ভারতে যেমন ‘পুষ্পা’, ‘কেজিএফ’, ‘কাল্কি’-এর জন্য একজন আল্লু অর্জুন, একজন প্রভাস যেমন বছরের পর বছর অপেক্ষা করে, তেমনি আমি অপেক্ষা করতে চাই। মানুষ যেন আমাকে ব্যস্ত অভিনেত্রীর তকমা না দেয়, তারা যেন আমার অভিনয়ে মুগ্ধ হয়, তৃপ্ত হয়।”
মাহিকে সবশেষ দেখা গেছে শাকিব খানের ‘রাজকুমার’ সিনেমায়। যেখানে প্রথমবারের মতো পর্দায় শাকিবের মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। নায়িকার নতুন এই অবতার দর্শকরাও লুফে নিয়েছে। পাশাপাশি অভিনয়ের প্রশংসা করেছে।
Leave a Reply