কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার চরসাদিপুর ইউনিয়নে রশিদিয়া দরবার শরিফে হামলার ঘটনা ঘটেছে। ভাঙচুরের পর ওই দরবার শরিফে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার চরসাদিপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় প্রশাসন বলছে এটি কোনো দরবার শরীফ নয়, মাদকসেবীদের আড্ডাখানা ছিল। তাই বিক্ষুব্ধ স্থানীয়রা রাতে এটি ভেঙে দিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, জিল্লুর রহমান নামে এক ব্যক্তি রশিদিয়া দরবার শরীফ এলাকায় একটি টিনশেড ঘর নির্মাণ করে সেখানে গানবাজনা ও বাৎসরিক ওরশ মাহফিলের আয়োজন করতেন। অন্যান্য দিনেও সেখানে গানবাজনা চলতো। রোববার রাতে ওই দরবার শরীফে বাৎসরিক ওরশ চলছিল। এ সময় এশার নামাজের পর ২০-২৫ জন লোক লাঠিসোটা নিয়ে সেখানে অতর্কিত হামলা চালায় এবং ভাঙচুর করে। পরে সেখানে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় দরবারে আসা মানুষ পালিয়ে যায়। হামলার সময় তারা অভিযোগ করেন, মাজারে গানবাজনা আর মাদকের আড্ডা চলছিল।
তবে দরবার শরীফের পরিচালক জিল্লুর রহমানের ছেলে রাসেল জানান, প্রায় ১৫-১৬ বছর আগে দরবার শরীফ প্রতিষ্ঠার পর থেকে দরবার শরীফের দেখাশুনার দায়িত্ব নেন তার বাবা। দরবারে কোনো অশ্লীল বা ইসলাম বিরোধী কার্যকলাপ হয় না, মাদকসেবীদেরও আড্ডা এখানে নেই। এখানে দোয়ার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গানবাজনাও হয়ে থাকে। এতে স্থানীয়রা ছাড়াও বিভিন্ন এলাকার লোকজন আসেন। তারই অংশ হিসেবে রোববার রাতে বাৎসরিক ওরশ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। কিন্তু রাত ৯টার দিকে একদল লোকজন দরবারে এসে লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় এবং দরবারে আগুন ধরিয়ে দেয়।
স্থানীয়রা বলছেন, চরসাদিপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের ইন্ধনে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার সময় জাহাঙ্গীর আলম সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
তবে সাবেক এ চেয়ারম্যান জানান, দরবারে হামলার পেছনে তার কোনো ইন্ধন ছিল না। তবে কিছু লোকজন এসে দরবারে হামলা করেছে বলে জেনেছি।
কুমারখালী থানার ওসি আকিবুল ইসলাম জানান, হামলা ও আগুনের ঘটনা সঠিক তবে এটি কোনো দরবার শরীফ ছিল না। জিল্লুর রহমান নামে এক ব্যক্তি একটি টিনশেডের একটি ঘর তৈরি করে সেখানে গানবাজনার আয়োজন করতেন। সেখানে মাদকসেবীদেরও আড্ডা হতো। এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
Leave a Reply