কানপুর টেস্টেই প্রায় আড়াই দিন বৃষ্টির কারণে খেলাই হয়নি। চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় সেশনে যখন বাংলাদেশ অলআউট হয়, তখনও ড্র’কেই এই টেস্টের সম্ভাব্য ফলাফল মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু টি-টোয়েন্টি স্ট্যাইলে ব্যাট করে রোমাঞ্চের আভাস দেয় ভারত। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে পঞ্চম দিনে ভারতের বোলারদের উইকেট উপহার দিয়ে নিশ্চিত হারের মুখে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) কানপুর টেস্টে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ৪৭ ওভারে ১৪৬ রানে অলআউট হয়ে গেছে। পঞ্চম দিনে এক সেশনও ব্যাট করতে পারল না টাইগাররা। জয়ের জন্য ভারতের সামনে লক্ষ্য ৯৫ রান।
আগের দিনে ২ উইকেটে ২৬ রান নিয়ে দিন শেষ করা বাংলাদেশ শেষ দিনের শুরুতেই আগের ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান মুমিনুল হকের উইকেট হারায়। রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে সুইপ শট খেলতে গিয়ে স্লিপে ধরা পড়েন তিনি। আউট হওয়ার আগে ২ রান করেন সাবেক এই অধিনায়ক।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে অধিনায়ক শান্তকে নিয়ে সাদমান দারুণ জুটি গড়ে তুলেছিলেন। স্বাচ্ছন্দেই খেলছিলেন শান্ত। ৫৫ রানের জুটি গড়েন তারা। কিন্তু রবীন্দ্র জাদেজা বোলিংয়ে আসতেই রিভার্স সুইপ শট খেলতে যান তিনি। বল ব্যাট মিস করে উইকেটে গিয়ে লাগে। ৩৭ বলে ১৯ রান করে বিদায় নেন শান্ত। শান্তর বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে মড়ক লাগে টাইগারদের ইনিংসে। ৯১-৯৪ এই ৩ রান করতেই ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
শান্তর বিদায়ের পরের ওভারেই সাদমান বিদায় নেন। মাত্রই অর্ধশতক পূর্ণ করা এই ওপেনার আকাশদীপের অফ স্টাম্পের বাইরের বল তাড়া করে স্লিপে ধরা পড়েন। ১০১ বলে ১০ চারে ৫০ রান করেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত একাই লড়াই করেছেন মুশফিকুর রহিম। তাতে অবশ্য খুব একটা লাভ হয়নি। ছবি: বিসিসিআই
পরের ওভারে লিটন দাস জাদেজার বলে পন্তের হাতে ক্যাচ দেন। দুই ওভার পর জাদেজার বলে তার হাতেই ক্যাচ দেন সম্ভাব্য শেষ টেস্ট ইনিংস খেলতে নামা সাকিব। শেষ ইনিংসে ২ বল খেলে রানে খাতা খুলতে পারেননি তিনি।
এর পর একাই লড়াই করতে থাকেন মুশফিকুর রহিম। দলীয় ১১৮ রানে বুমরাহর বলে পন্তের হাতে ক্যাচ দেন ৯ রান করা মিরাজ। ১৩০ রানে তাইজুলও বিদায় নেন বুমরাহর বলে। ১৩ বল খেললেও রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি।
জদেজার বলে মুশফিকের বিরুদ্ধেও এলবিডব্লিউয়ের আবেদন উঠেছিল। আম্পায়ারও সাড়া দিয়েছিলেন। কিন্তু রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান সে সময় ২৭ রানে ব্যাট করা মুশি।
মুশফিক একাই লড়াই চালিয়ে যান। লাঞ্চের আগের একদম শেষ বলে বুমরাহ তাকে বোল্ড করলে বাংলাদেশের ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে।
ভারতের পক্ষে জাসপ্রীত বুমরাহ, রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং রবীন্দ্র জদেজা প্রত্যেকেই ৩টি করে উইকেট শিকার করেন। বাকি উইকেটটি আকাশ দীপ পান।
Leave a Reply