গাজা ও লেবাননে আগ্রাসনের প্রতিশোধে ইসরাইলের বিভিন্ন সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। এই হামলার জাবাবে আজ রাতেই মধ্যপ্রাচ্যে শক্তিশালী হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর প্রধান ড্যানিয়েল হাগারি। এমনকি দেশটির পরম মিত্র যুক্তরাষ্ট্রও ইরানকে এই হামলার পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এরপর থেকেই ইরানে হামলা চালালে কোন স্থানগুলোতে ইসরাইল লক্ষ্যবস্তু বানাতে পারে তা আলোচনার তুঙ্গে।
বেলজিয়ামভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ থিংক ট্যাংকের ইরান সংক্রান্ত পরিচালক আলী ভায়েজ আলজাজিরাকে বলেছেন, ইরানের পরমাণু কর্মসূচির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট স্থাপনাগুলোতেই হামলার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি।
যদিও তেহরান বলেছে, ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে ইসরাইল যদি কোনো ধরনের পাল্টা হামলা চালায় তবে ইরান আরও ভয়াবহ হামলা চালাবে।
তবে আলী ভায়েজ মনে করেন, ইরানের সঙ্গে তৈরি হওয়া সংকট কূটনৈতিকভাবে সমাধান হলে ইসরাইল তা মোটেও পছন্দ করবে না। তার মতে, ইরানের মিত্র হিজবুল্লাহ ইসরাইলের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি। এ কারণেই ইরানের পরমাণু কর্মসূচির স্থাপনাগুলোতে হামলার আশঙ্কা এখন সবচেয়ে বেশি।
তিনি আরও বলেন, ইসরাইলকে রক্ষায় কাজ করছে ওই অঞ্চলে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের সেনা। এই পরিস্থিতিতে ইরানে পরমাণু কর্মসূচিতে হামলা চালানোর এমন সুযোগ ইসরাইলের সামনে আর নাও আসতে পারে।
তবে ইরানের যেখানেই হামলা হোক সেটা যে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে যুদ্ধের আশঙ্কাকে আরও বাড়িয়ে তুলবে সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই আলী ভায়েজের।
Leave a Reply