মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে একজন অতি গুরুত্বপূর্ণ ফিনিশার হিসেবে পরিচিত। তার অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা দলের জন্য অনেক সময় ম্যাচ জয়ের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। ফিনিশিং পজিশনে ব্যাট করা মানে শুধুই চাপ সহ্য করা নয়, বরং কঠিন পরিস্থিতিতে দলের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হয়ে ওঠা।
আজ (মঙ্গলবার) দিল্লিতে অবসর ঘোষণার সময় মাহমুদউল্লাহ তার ক্যারিয়ারের চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ফিনিশার হিসেবে খেলতে গিয়ে যে মানসিক চাপের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়, তা কখনো কখনো অত্যন্ত কঠিন। চাপের কারণে প্রত্যেক ম্যাচে সেরা পারফরম্যান্স দিতে না পারা স্বাভাবিক।
তিনি উল্লেখ করেছেন, ফিনিশারদের জন্য খেলার চাপ অনেক বেশি। উইকেট দ্রুত হারানোর ঝুঁকি থাকে এবং একই সাথে ধারাবাহিকতা বজায় রাখা কঠিন। এই পজিশনে ব্যাটসম্যানদের জন্য মানসিক প্রস্তুতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ম্যাচের শেষ মুহূর্তে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং সঠিক শট খেলা নির্ভর করে অভিজ্ঞতার ওপর।
মাহমুদউল্লাহর মতো খেলোয়াড়রা ফিনিশিং পজিশনে যে ভূমিকা পালন করেন, তা দলের সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তার অবসর নিশ্চিতভাবে বাংলাদেশের ক্রিকেটে একটি যুগের সমাপ্তি।
ফিনিশারের ভূমিকায় চ্যালেঞ্জের কথা জানিয়ে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘ফিনিশার ভূমিকার কথা যদি চিন্তা করি… ৬-৭ এ ব্যাট করা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সবচেয়ে কঠিন। পাঁচ ইনিংস খেললে তিনটায় ব্যর্থ হবেন। একটাতে হয়তো ভালো ব্যাট করে দলকে জিতিয়ে আনবেন, আর একটাতে মোটামুটি খেলবেন।’
ফলে ফিনিশারদের নিয়ে সমালোচনা হলেও, দল ও টিম ম্যানেজমেন্টের সমর্থন প্রয়োজন বলে মনে করেন রিয়াদ, ‘ওই পজিশনে ওই ব্যাটারের এটাই কাজ। এটাকে দল, টিম ম্যানেজমেন্ট ও বোর্ডের সমর্থন দিতে হবে। বাইরে যত কথাই হোক, মিডিয়া যতই না বলুক। ওই জিনিসগুলো বাদ দিতে হবে। এই পজিশনে যে ব্যাট করবে তাকে ব্যাক (সমর্থন) করতে হবে। এই নিশ্চয়তা পেলে সে অভূতপূর্ব ভালো করবে।’
ভবিষ্যতে বাংলাদেশ দলে যাদের ফিনিশার হিসেবে দেখেন, এমন চারজনের নাম বলেন মাহমুদউল্লাহ, ‘কয়েকজন আছে। জাকের আলী অনিক ভালো করছে। শামীম পাটোয়ারি আছে। আফিফ (হোসেন) একটা ভালো পছন্দ হতে পারে, ইয়াসির রাব্বিও আছে। বেশ কয়েকজন আছে। আপনাকে সাহসী হতে হবে, ব্যর্থতা নিয়ে ভাবা যাবে না। টিম ম্যানেজমেন্ট, কোচ ও ক্যাপ্টেনের ব্যাক করতে হবে তাদের।
Leave a Reply