মালয়েশিয়ার পুলিশ হেডকোয়ার্টারে জনপ্রিয় ইসলামী বক্তা মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকায় তাকে কুয়ালালামপুর বিমানবন্দর দিয়ে মালয়েশিয়ায় প্রবেশকালে অভিবাসন বিভাগের জেরার মুখে পড়েছেন তিনি। তদন্তের স্বার্থে দেশটির পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় সময় শুক্রবার দিবাগত রাত ১টা পর্যন্ত বৈঠকে রয়েছেন আজহারী।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সকালে নিজের আজহারীর ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক দীর্ঘ পোস্টে মালয়েশিয়া যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন এই ইসলামি বক্তা।
আজহারীকে বহন করা বিমান মালয়েশিয়ার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বিগত সরকারের আমলে আজহারীসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ায় ইমিগ্রেশন বিভাগে
অভিযোগ থাকার কারণে তাকে এই জেরার মুখে পড়তে হয়েছে।
প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আজহারী দেশটির পুলিশের সঙ্গে একটি রুমে বৈঠকে রয়েছেন। তবে তাকে দেশে ফেরত পাঠানো হবে কিনা সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
দীর্ঘ সাড়ে চার বছর পর মালয়েশিয়া থেকে গত ২ অক্টোবর দেশে ফেরেন জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) আবার মালয়েশিয়া ফিরবেন বলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে জানান তিনি।
এর আগে তিনি তার পোস্টে তিনি লেখেন, দীর্ঘ পাঁচ বছর পর সংক্ষিপ্ত সফরে দেশে এসেছিলাম। বেশির ভাগ সময় পরিবারের সাথেই কাটিয়েছি। এরই মাঝে বিভিন্ন ঘরানার আলিম-ওলামা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিয়ে একটি ক্লোজ মিট-আপ প্রোগ্রাম করেছিলাম।
‘আলহামদুলিল্লাহ, সত্যিই সে-দিনটি বেশ উপভোগ্য ছিল। তবে শর্ট নোটিশে প্রোগ্রামটি আয়োজনের কারণে অনেক প্রিয় ভাই আসতে পারেননি। আবার কিছুটা তাড়াহুড়ো করে দাওয়াত দেয়ার কারণে, বেখেয়ালবশত অনেকে বাদ পড়েছেন। আশাকরি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। পরবর্তীতে সবার সাথে সাক্ষাতের প্রত্যাশা রইলো।’
আজহারী আরও লেখেন, আজ মালয়েশিয়া চলে যাচ্ছি। মাস খানেক পর আবারও দেশে ফিরবো ইনশাআল্লাহ। তখন আইনশৃঙ্খলা, জননিরাপত্তা, প্রটোকল, লোকেশন সিলেকশন, শ্রোতা ধারণ ক্ষমতা, অর্গানাইজিং ক্যাপাসিটিসহ সবকিছু অনুকূল হলে, দেশজুড়ে বিভাগীয় পর্যায়ে হয়ত কয়েকটি প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে পারি। তবে সব কিছুই নির্ভর করবে উপযুক্ত পরিবেশ ও পরিস্থিতির উপর।
ওয়াজ-মাহফিল নিয়ে তিনি লেখেন, আমি এ-জমিনে কোরআনের আলো ছড়িয়ে দিতে চাই পরিকল্পিতভাবে। তাই আগের মতো জেলায় জেলায় গণহারে তাফসির প্রোগ্রাম করতে চাচ্ছি না। আউটডোর প্রোগ্রাম সীমিত করে, কিছু ইনডোর প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে চাই। পাবলিক ইভেন্ট ছাড়াও অ্যাকাডেমিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক কাজে যুক্ত হতে চাই। এসব স্বপ্ন বাস্তবায়নে আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন। শিগগিরই এসব প্রকল্পের ঘোষণা আসবে ইনশাআল্লাহ। দোয়ায় রাখবেন।
Leave a Reply