বৈষম্যহীনভাবে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের দাবিতে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঘেরাও করেছেন পরীক্ষার্থীদের একটি অংশ। এতে বোর্ডের একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী ভেতরে আটকা পড়েছেন।
বিষয়টি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার। তিনি বলেন, ‘২০-২৫ জনের একটি গ্রুপ বোর্ডের গেটে এসে হট্টগোল শুরু করেন। এ সময় তারা অটোপাসের দাবিতে স্লোগান দিতে দিতে মূল ফটকে তারা ঝুলিয়ে দেন। এতে আমাদের অনেক সহকর্মী ভেতরে আটকা পড়েছে।’
জানা গেছে, সোমবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে কিছু শিক্ষার্থী ও কতিপয় যুবক ঢাকা বোর্ডের মূল ফটকের সামনে জড়ো হতে থাকেন। এরপর হঠাৎ করেই বোর্ডের মূল ফটক বাহির থেকে তালা মেরে দেন। এ সময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। পরে সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আসেন।
এদিকে এইচএসসি পরীক্ষায় কিছু শিক্ষার্থীর অটোপাসের দাবি প্রসঙ্গে শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, সবাইকে অটোপাস করিয়ে দিলে বিপুলভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ যে শিক্ষার্থীরা কৃতকার্য হয়েছে, তাদের ফলকে অবমূল্যায়ন করা হবে।
এবারের এইচএসসির বাকি পরীক্ষাগুলো নিতে পারলেই ভালো হতো উল্লেখ করে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, সচিবালয়ে একটা অনভিপ্রেত পরিস্থিতির মধ্যে কর্তৃপক্ষকে তাৎক্ষণিক পরীক্ষাগুলো বাতিলের ঘোষণা দিতে হয়েছিল। বোর্ড কর্তৃপক্ষ এখন পূর্বেকার দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে এইচএসসির যে বিষয়গুলোর পরীক্ষা বাতিল হয়েছিল; তার সঙ্গে এসএসসি’র সম্পর্কিত বিষয়ের ফলাফল সমন্বয়ে করে চূড়ান্ত ফলাফল তৈরি করেছে বলে আমাকে জানিয়েছে।
এসএসসিতে যারা কোন বিষয়ে অনুত্তীর্ণ হবার কারণে পরবর্তী বছরে আবার পরীক্ষার সুযোগ নিয়েছে সে ফলাফলও নেয়া হয়েছে। কাজেই চূড়ান্ত ফলাফলে যারা উত্তীর্ণ হবে না, তারা বঞ্চিত হয়েছে বলা যাবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘সবাইকে এখন অটোপাস করিয়ে দিলে বিপুলভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ যে শিক্ষার্থীরা কৃতকার্য হয়েছে, তাদের ফলাফলকে অবমূল্যায়ন করা হবে। কাজেই এ ধরনের দাবির কোন যৌক্তিকতা দেখি না।’
Leave a Reply