শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) বেলা ১২টায় গাজীপুরের কাপাসিয়ায় নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের ডেকে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ওই নারী।
তিনি বলেন, নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তাই বাড়িতেই সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন। থানায় ধর্ষণ মামলা করতে গেলে ইমরান হোসেন শিশিরের লোকজন বাধা হয়ে দাঁড়ায়। নানা নাটকীয়তা শেষে ৬ ঘণ্টা পর ধর্ষণ মামলা নেয় থানা পুলিশ। এরপর থেকে তাকে ও তার পরিবারকে আপোষের জন্য নানাভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে শিশিরের লোকজন।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, তাকে জিম্মি করে শিশির মোবাইল কেড়ে নেয় এবং মোবাইলে থাকা ব্যক্তিগত ছবি, ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয়সহ প্রকাশ করে দেয়। এতে করে তিনি পারিবারিক ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্নের শিকার হচ্ছেন জানিয়ে বলেন, শিশির আমার কোনও গোপনীয়তা রক্ষা করেনি। যেটি নারী-শিশু এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
আরও পড়ুন: ছাত্রদল নেতাকর্মীদের প্রতি জরুরি ৯ নির্দেশনা
দ্রুতই তিনি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরেকটি মামলা করবেন জানিয়ে বলেন, গত ১৩ অক্টোবর অস্ত্রের মুখে শিশিরের লোকজন তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে সাজানো সংবাদ সম্মেলনে হাজির করে। সেখানে বলতে বাধ্য করা হয় একটি দৈনিকের অনলাইনে প্রকাশিত সংবাদটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এছাড়াও ছাত্রদল নেতা মাসুম বিল্লাহ ও ফরহাদকে ফাঁসাতে তাকে চাপ দেয়া হয়। সেদিনের সংবাদ সম্মেলন শেষে তার মোবাইল কেড়ে নেয়া হয়। পরে সেটি ব্যবহার করে তার ফেসবুক আইডি থেকে শিশিরের পক্ষে নানা পোস্ট দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হয়।
তিনি বলেন, বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তাকে ঠকানো ও প্রতারিত করা হয়েছে এবং সবশেষে ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে তার চরিত্র হনন করা হয়েছে। তাই বিষয়টিকে রাজনৈতিকভাবে না দেখে প্রকৃত অপরাধীকে আইনের আওতায় আনতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
Leave a Reply