জিম্বাবুয়ে বুধবার গ্যাম্বিয়ার বিপক্ষে ৩৪৪ রান করে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড ভেঙেছে। এটি ছিল পুরুষদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আফ্রিকা সাব-রিজিওনাল কোয়ালিফায়ার টুর্নামেন্টের ম্যাচ। সিকান্দার রাজা মাত্র ৩৩ বলে সেঞ্চুরি করেন, যা জিম্বাবুয়ের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে প্রথম সেঞ্চুরি। তিনি ১৫টি ছক্কা মেরে ১৩৩ রানে অপরাজিত থাকেন। তার দলের অন্য ব্যাটাররা আরও ১২টি ছক্কা মারেন, যা এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ছক্কার রেকর্ডও। এর আগে নেপাল ৩১৪ রান এবং ২৬টি ছক্কা মেরে এই রেকর্ডের মালিক ছিল। গ্যাম্বিয়া পরে মাত্র ৫৪ রানে অলআউট হয়ে যায়, ফলে জিম্বাবুয়ে টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে (রানের দিক থেকে) জয় পায়।
এই ঐতিহাসিক ম্যাচটি নাইরোবির রুয়ারাকা স্পোর্টস ক্লাবে হয়, যেখানে জিম্বাবুয়ে প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক খেলা শুরু করে। তারা মাত্র ৩.২ ওভারে ৫০ রান তোলে। তাদিওয়ানাশে মারুমানি তার ৫০ রান করেন মাত্র ১৩ বলে। পাওয়ারপ্লে শেষ হওয়ার আগেই দলীয় ১০০ রান উঠে যায়। এরপর থেকে তারা শুধু বলকে কতদূর পাঠানো যায়, সেই চেষ্টায় ছিল। ইনিংসে মোট ৫৭টি বাউন্ডারি হয়, যা একটি টি-টোয়েন্টি রেকর্ড। চারজন জিম্বাবুইয়ান ব্যাটার ৫০-এর বেশি রান করেন, এটাও একটি নতুন রেকর্ড। ব্রায়ান বেনেট ২৬ বলে ৫০ রান এবং ক্লাইভ মানডান্ডে ১৭ বলে ৫৩ রান করেন, শেষ বলটিতে ছক্কা মেরে।অনলাইনে লাইভ খেলা দেখুন
তবে সিকান্দার রাজাই ছিলেন ম্যাচের প্রধান তারকা। তিনি সপ্তম ওভারের শেষে ব্যাট করতে নামেন, কিন্তু ফিল্ডিং নিয়ম শিথিল হলেও তাকে আটকানো যায়নি। তৃতীয় বলেই ছক্কা মেরে রান তোলার দৌড় শুরু করেন এবং ৩৩ বলে সেঞ্চুরি করেন, যা টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরি। এই রেকর্ডটি নামিবিয়ার জ্যান নিকোল লফটি-ইটনের সঙ্গে সমান, যিনি ফেব্রুয়ারি ২০২৪-এ নেপালের বিপক্ষে এই রেকর্ড করেন।
গ্যাম্বিয়া, যেটি আফ্রিকার সবচেয়ে ছোট দেশ, রান আটকাতে খুব একটা কিছু করতে পারেনি। তাদের বোলার মুসা জোরবাতেহ সবচেয়ে বেশি রান দেন, তার ৪ ওভারে ৯৩ রান খরচ হয়। তার মতো আরও পাঁচজন বোলার ৫০-এর বেশি রান দেন। গ্যাম্বিয়া এখনো এই টুর্নামেন্টে কোনো ম্যাচ জিততে পারেনি, আগের দুটি ম্যাচে রুয়ান্ডা ও সিসেলসের বিপক্ষে ওয়াকওভার দিয়েছে, আর জিম্বাবুয়ে তাদের চারটি ম্যাচই জিতেছে।
Leave a Reply