বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় সরকার গঠনে এবং ফ্যাসিবাদের সর্বশেষ আইকনকে সরানোর ক্ষেত্রে দেশের প্রমিনেন্ট কোনো জাতীয় দলের সহায়তা পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
শনিবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানান তিনি।
পোস্টে আসিফ মাহমুদ লেখেন, ৮টি দিবস বাতিল কিংবা ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করার মতো রাজনৈতিক সিদ্ধান্তও উপদেষ্টা পরিষদ অকপটে নিয়েছে। অথচ এই উপদেষ্টা পরিষদ অভ্যুত্থানের স্পিরিট ধারণ করে না বলে অনেকেই অপবাদ দিচ্ছেন।
অন্যদিকে প্রমিনেন্ট রাজনৈতিক দলকেও আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেসি করতে দেখা গেছে। ফ্যাসিবাদের সর্বশেষ আইকনকে সরানোর ক্ষেত্রেও অনীহা দেখা গেছে।
তিনি আরো লেখেন, আমরা রক্ত মাড়িয়ে সংলাপ কিংবা সমঝোতায় যাওয়ার মতো ধৃষ্ঠতা আগেও দেখাইনি, ভবিষ্যতেও দেখাব না। এক পা এগিয়ে দুই পা পেছানোর মতো আপসকামী মনোভাব রাখলে আজকের বাংলাদেশ পেতাম না। ব্যক্তিগত বা সমষ্টিগত ক্ষোভ থাকতে পারে, সেটা নিয়ে আলোচনা হোক। পাবলিক প্ল্যাটফর্মে কাউকে বিব্রত করা কিংবা তা করতে গিয়ে নিজেকে খেলো করা দুঃখজনক।
আসিফ মাহমুদ লেখেন, ৫ আগস্ট প্রথম প্রহরে অভ্যুত্থানের পরের রোডম্যাপ হিসেবে ৫টি পয়েন্ট ঘোষণা করা হয়েছিল এই ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকেই। সেখানেই অন্তর্বর্তী জাতীয় সরকার গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। সবাইকে নিয়ে সরকার গঠনের প্রথম অভিপ্রায় গণঅভ্যুত্থানের নেতৃবৃন্দই দেখিয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে প্রমিনেন্ট কোনো রাজনৈতিক দলের সায় না পাওয়ায় সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়নি।
Leave a Reply