ট্রাম্পের ‘বড় কারচুপির’ অভিযোগে যা বললেন ফিলাডেলফিয়ার কর্মকর্তারা!

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পেনসিলভেনিয়ার সবচেয়ে জনবহুল শহর ফিলাডেলফিয়ায় রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের আনা কারচুপির অভিযোগকে প্রত্যাখ্যান করেছেন শহরটির কর্মকর্তারা। সেইসঙ্গে এ অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’, ‘অসত্য’ ও ‘বন্য’ বলে উল্লেখ করেছেন তারা।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) ভোটগ্রহণ শুরুর দিন নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথে নির্বাচনে ‘বড় কারচুপির’ শঙ্কা প্রকাশ করে বার্তা দেন ট্রাম্প।

বার্তায় তিনি অভিযোগ করেন, ‘ফিলাডেলফিয়াতে অনেকে বিশাল কারচুপির কথা বলছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আসছে!’

রিপাবলিকান পার্টির এ বার্তার কিছুক্ষণ পর ফিলাডেলফিয়ার প্রধান আইন কর্মকর্তা (অ্যাটর্নি) ল্যারি ক্রাসনার সাংবাদকিদের বলেন,
এটি পুরোপুরি ভিত্তিহীন ও বন্য অভিযোগ। এ অভিযোগের পক্ষে কোনো তথ্য-প্রমাণ ট্রাম্পের কাছে থাকলে আমরা এখনই তা দেখতে চাই।

এ ছাড়া ফিলাডেলফিয়া সিটি করপোরেশেন কমিশনার এবং রিপাবলিকানপন্থি রাজনীতিবিদ সেথ ব্লুস্টেইনও ট্রাম্পের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘এ অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই। ফিলাডেলফিয়া নিরাপদ ও সুষ্ঠুভাবে ভোট হচ্ছে।’

এর আগে ২০২০ সালের নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী জো বাইডেনের কাছে পরাজিত হওয়ার পরও ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তুলে ভোটের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভোট পুনর্গণনা ও নির্বাচনের ফলাফল পরিবর্তনের দাবিতে আদালতে একাধিক মামলাও দায়ের করেছিলেন তিনি। তবে তার সেসব মামলাকে ভিত্তিহীন বলে খারিজ করে দিয়েছিলেন আদালত।

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এবার রেকর্ড পরিমাণ ভোট পড়েছে। নানা কারণে এবার আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণায় কয়েক দিন সময় লাগাতে পারে বলে আভাস নিয়েছেন নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা। ফলে চূড়ান্ত ফল পেতে লাগতে পারে কয়েক দিন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি রাজ্যে ভোটের পদ্ধতির নির্দিষ্ট বিধি রয়েছে। ভোট গণনার পদ্ধতিও আলাদা। তিন পদ্ধতির মাধ্যমে নেয়া হয় ভোট। হ্যান্ডমার্ক করা কাগজের ব্যালট, ব্যালট মার্কিং ডিভাইস বা বিএমডি ও ডাইরেক্ট রেকর্ডিং ইলেকট্রনিক বা ডিআরইয়রে মাধ্যম ভোট নেয়া হয়। এর মধ্যে বহুল প্রচলিত কাগজের ব্যালট ব্যবহৃত প্রায় ৭০ শতাংশ। ২৫ শতাংশেরও বেশি ভোটার ব্যবহার করেন কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত ভোটদান পদ্ধতি- বিএমডি।

দেশটিতে ভোট গণনার পদ্ধতিতেও রয়েছে কিছুটা ভিন্নতা। ভোটের দিন যে ভোট পড়ে তা প্রথমে গণনা করা হয়। এরপর আগাম ও ডাকযোগে আসা ভোট গণনা করা হয়। সবশেষে গণনায় করা হয় অভিবাসী ও সামরিক ভোট। মূলত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য ডাকযোগে দেশের ভেতরে ও বাইরে থেকে গৃহীত ভোট গণনার প্রক্রিয়ায় বেশি সময় লাগে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *