লক্ষ্য ছিল সহজ। এমনকি নিজেদের ব্যাটিং ইনিংসের অর্ধেক পর্যন্ত ম্যাচ ছিল বাংলাদেশের হাতের নাগালে। এরপর যা হলো, লজ্জায় মাথা লুকানোর জায়গা পাবেন তো ব্যাটাররা? এভাবেও আসলে হারা যায়? দলটা বাংলাদেশ বলেই বোধ হয় সম্ভব। আফগানিস্তানের কাছে অবিশ্বাস্যভাবে হেরে সেটাই প্রমাণ করেছে টাইগাররা।
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৪৯.৪ ওভারে অল আউট হওয়ার আগে ২৩৫ রান সংগ্রহ করেছিল আফগানিস্তান। জবাবে ৩৪.৩ ওভারে ১৪৩ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ৯২ রানের জয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে আফগানরা।
সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দেখেশুনে শুরু করেন সৌম্য সরকার ও তানজিদ হাসান তামিম। তবে তামিম বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে গজনফরের বলে ব্যক্তিগত ৩ রানে বোল্ড হন তিনি।
তামিম ফিরলেও দলের রানের চাকা সচল রাখেন সৌম্য ও নাজমুল হোসেন শান্ত। দুজনের পাল্টা আক্রমণে ব্যাকফুটে চলে যায় আফগানরা। তবে এরই মাঝে ওমরজাইকে পুল করতে গিয়ে ৩৩ রানে আউট হন সৌম্য।
ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পেয়ে সেটার প্রতিদান ভালোভাবেই দিচ্ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। কিন্তু অল্প সময়ের ব্যবধানে সুইপ করতে গিয়ে তিনি ও শান্ত সাজঘরে ফেরেন। প্রথমে নবীকে ৪৭ রানে আউট হন শান্ত। এরপর আর কেউই বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি।
শান্তর বিদায়ের পরই মিরাজ ফেরেন ২৮ রানে। এরপর দলের বাকি ব্যাটাররা শুধু আসা যাওয়া করেছেন। ১১ রানের মাঝে শেষ ৭ উইকেট হারিয়েছে টাইগাররা। আফগানদের হয়ে গজনফর ছয়টি, রশিদ দুটি এবং নবী ও ওমরজাই একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন আফগানিস্তান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শাহিদি। যেখানে বাংলাদেশের শুরুটা ছিল স্বপ্নের মতো। দলীয় ৭১ রানের মাঝেই আফগানদের অর্ধেক ব্যাটারকে সাজঘরে পাঠিয়েছিল টাইগাররা।
ধ্বংসস্তুপের মধ্য থেকে লড়াই করেন শাহিদি ও মোহাম্মদ নবী। ষষ্ঠ উইকেটে দুজনের ১০৪ রানের জুটিতে ম্যাচে দারুণভাবে ফিরে আসে আফগানিস্তান। শাহিদি ৫২ রানে ফিরলেও ৮৪ রানের অনবদ্য এক ইনিংস উপহার দেন নবী।
শেষে এসে ২৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ এক ক্যামিও খেলেন নাঙ্গেয়ালিয়া খারোটে। তার ব্যাটেই আফগানদের লড়াকু সংগ্রহ নিশ্চিত হয়। বাংলাদেশের হয়ে মুস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ চারটি এবং শরিফুল ইসলাম একটি করে উইকেট নেন।
Leave a Reply